|
লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা নাম লালপুর স্টেডিয়াম, ২০০৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন তত্কালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল। উদ্দেশ্য এ অঞ্চলের তথা সারাদেশের খেলোয়াড়দের অনুশীলন এবং বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত খেলার প্রয়োজনীয় মাঠের চাহিদা পূরণ। কিন্তু ক্ষমতার পালা বদলে স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন হয়, স্টেডিয়ামের অবস্থার পরিবর্তন হয়না। বছরের পর বছর ধরে খেলার পরিবর্তে চলছে কাশফুল ও উলুর (উলুখড়) আবাদ এবং ব্যবহার হচ্ছে ধঞ্চে (ধনচে) ও পাট শুকানোর জায়গা হিসাবে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলো মিটার দূরে গোপালপুর-লালপুর সড়কের বৈদ্যনাথপুর নামক স্থানে ৫ একর জমির ওপর অবস্থিত স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর তত্কালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল উদ্বোধন করেন। জমির মূল্য বাদে একতলা প্যাভিলিয়ন ভবন ও পুর্ণাঙ্গ গ্যালারি বিশিষ্ট এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭শ টাকা। ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম নির্ধারণ করে তত্কালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার নাম ফলক উন্মোচন করেন। মূল ফটক দিয়ে স্টেডিয়াম মাঠ পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফুট রাস্তার দু ধারে রাশি রাশি কাশফুল, যেন আগন্তককে স্বাগত জানাচ্ছে। ঘন কাশফুলের আড়াল হয়ে আছে স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়ন ভবনে লাগানো নাম ফলক। স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচিরের ভেতরে গ্যালারির বাইরের পুরো এলাকা জুড়ে ৬/৭ ফুট উঁচু ঘন কাশফুল। কাশফুল দুহাতে ঠেলে স্টেডিয়ামের মূল ফটক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেল পুরো মাঠজুড়ে রয়েছে কাশফুল আর উলুবন (উলুখড়)। দেখে মনে হয় পরিকল্পিতভাবে কাশ ফুলের আবাদ করা হয়েছে। খেলা কোনো পরিবেশ নেই। দর্শক গ্যালারিতে শুকানো হচ্ছে ভেজা পাট। নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম সংস্কার ও জনবল কাঠামো প্রদানের জন্য সংসদে দাবি জানিয়েছি। একই দাবিতে ডি.ও লেটার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
|