শিরোনাম: |
বেঁচে ওঠার আশায় হিমঘরে লাশ!
|
বর্তমান ডেস্ক : শিল্পীর কল্পনায় ভবিষ্যতে মরদেহ সংরক্ষণের বাক্স। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। এ সময়ের চিকিত্সাবিজ্ঞান তাকে বাঁচাতে পারেনি। কিন্তু আজ থেকে ১০০ বছর পরের বিজ্ঞান পারবে কি-না, তা তো বলা যায় না। মেয়েটি তাই মৃত্যুর পর সমাহিত হতে চায়নি। বলে গিয়েছিল, তার মৃতদেহ যেন হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা হয়। তাতে আগামীর পৃথিবী হয়তো তার প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টাটুকু করতে পারবে। যুক্তরাজ্যের বিচার ব্যবস্থাও ছোট্ট মেয়েটির ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। এক অভূতপূর্ব রায়ে দেশটির হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর মৃতদেহ সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছেন। বিচারকের কাছে আরজিতে মেয়েটি লিখেছিল, ‘আমি মরতে চাই না। যদিও আমি জানি যে, আমি মরতে চলেছি। তবে এ পদ্ধতিতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হলে ১০০ বছর পরও আমার সুস্থ হওয়ার ও জেগে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে।’ মেয়েটির অনুরোধে তার পরিচয় জানানো হয়নি। সে আরও বলে গিয়েছিল, একমাত্র তার মা-ই মৃতদেহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। রায় দেয়া বিচারক পিটার জ্যাকসন বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তিনি বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু বিষয়ও বিবেচনা করেছেন। মৃতদেহ সংরক্ষণে সায় ছিল না মেয়েটির বাবার। তবে সবকিছুর ওপরে তিনি ভেবেছেন মেয়েটির ইচ্ছা ও কল্যাণের কথা। লন্ডনের অধিবাসী মেয়েটির মৃতদেহ এরই মধ্যে ক্রায়োনিকস পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রায়োনিকস ইনস্টিটিউট বলেছে, মৃত্যুর প্রায় ৮ দিন পর গত ২৫ অক্টোবর মেয়েটির মৃতদেহ বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ জন্য তার পরিবারকে খরচ করতে হয়েছে ৪৬ হাজার ডলার। সূত্র-এএফপি |