শ্রম ও শ্রমিকের নিরাপত্তা
Published : Monday, 10 July, 2017 at 9:03 PM, Count : 1422

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন : গত ৩ জুলাই গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ মাল্টিফ্যাবস গার্মেন্টসে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এই বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এই বয়লার বিস্ফোরণ সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৪ জুলাইয়ের  সংবাদগুলোতেও জানা যায় তখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ ছিল। মাল্টিফ্যাবস গার্মেন্টস কারখানায় যে বয়লারটা ব্যবহার করা হয়েছে তা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। আর এ কারণেই বয়লার বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এতদ সম্পর্কিত ঘটিত তদন্ত কমিটি। শিল্প কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে।
বয়লার বিস্ফোরণে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ শ্রমিক। যেন এর কোনো প্রতিকার নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ বয়লার ব্যবহার করে শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটানোটা শ্রমজীবী মানুষ হত্যার সমতুল্য। এ ধরনের ত্রুটিযুক্ত বয়লার বা মেশিনারিজ ব্যবহার করে যারা মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় তাদের কেন বিচার হয় না। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি দেশের শ্রমজীবীরা, তাদের অনিরাপদ স্থানে কাজ করতে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাই এই মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্টদের উপরই বর্তায়।  ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল দিনাজপুরের যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত হন ১৮ শ্রমিক। ২০১৬ সালে ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর ট্যাম্পকো নামে  সিগারেটের ফয়েল তৈরির কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫০ জন শ্রমিক নিহত হন। ওইদিন বয়লার বিস্ফোফরণে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার পাশ দিয়ে চলার রাস্তার পথচারীও নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ছিল কারখানাটির বয়লার বিস্ফোরণ। ওই সময় বয়লার বিস্ফোরণে আহত হয়েছিল প্রায় শতাধিক শ্রমিক। আহতদের মধ্য থেকেও পরে বেশ কয়েকজন মারা যান। ট্যাম্পকো কারখানাটির আগুন প্রায় কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এনেছিল দমকলের কর্মীরা। বয়লার বিস্ফোরণের ফলে কারখানা ভবনটিও ধসে পড়েছিল। ৯-১০-২০১৩ তারিখে গাজীপুরের শ্রীপুরে পলমল শিল্প গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা আসওয়াদ কম্পোজিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে আর এই অগ্নিকাণ্ডে আবার জীবন্ত দগ্ধ হয় গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এই দুর্ঘটনার কারণও বয়লার বিস্ফোরণ। বাংলাদেশে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প কারখানাগুলো কেন নিরাপদ হচ্ছে না শ্রমিকদের জন্য?
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিগত দিনের কিছু দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারায় ১১২৯ জন আহত হয় ২৫০০-এর বেশি আর নিখোঁজ ছিল ৯৯৬ জন। এরা সবাই পোশাক শিল্পের শ্রমিক। সাভারের আশুলিয়ায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশান নামে এক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন পোশাকশিল্প শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। জীবনের তরে পঙ্গুত্ববরণ করেন অর্ধ-শতাধিক আর আহত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ২০০-এর মতো। ১৯৯০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুরে সারাকা গার্মেন্টেসে আগুনে পুড়ে মারা যান ৩০ জন শ্রমিক। ১৯৯০ সালের আগস্টে গ্লোব নিটিংয়ে আগুনে পুড়ে মারা যান ১২ জন শ্রমিক। ২০০০ সালের ২৫ নভেম্বরে নরসিংদীর চৌধুরী নিট ওয়্যারে আগুন লেগে মারা যান ৫০ শ্রমিক। ২০০১ সালে ৮ আগস্ট মিকো সোয়েটারে আগুন লাগার পর পদদলিত হয়ে মারা যান ২৪ শ্রমিক। ওই বছরের এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে কাফরুলে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ২৫ শ্রমিক। ২০০৪ সালের ৩ মে মিসকো সুপার মার্কেটে আগুন লেগে মারা যান ৯ শ্রমিক। ২০০০ সালের নরসিংদীর শিবপুরে এক গার্মেন্টেসে আগুন লাগার পর মারা যান ৪৮ শ্রমিক। ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জের এক পোশাক তৈরি কারাখানা আগুন লেগে মারা যান ২২ শ্রমিক। ২০০৬ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি কেটিএস কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ৯১ শ্রমিক। ২০০৬ সালে গাজীপুরের যমুনা স্পিনিং মিলে আগুন লাগায় মারা যান ৬ শ্রমিক। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে সায়েম ফ্যাশনে আগুন লেগে মারা যান ৩ শ্রমিক। ২০১০ সালে গাজীপুরের গরিব অ্যান্ড গরিব সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মারা যান ২১ শ্রমিক। ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর আশুলিয়ায় হামিম গ্রুপের অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ৩০ শ্রমিক। আগুনে পুড়ে আর ভবনধসে গত দুই দশকে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন হাজার হাজার আর জীবনের তরে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে প্রায় হাজার খানেক কর্মজীবী মানুষকে। গাজীপুরে এক বছরে বয়লার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় একশ’ শ্রমিক। সারাদেশে প্রায় দুই শতাধিকের কাছাকাছি হবে। প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বয়লার বিস্ফোরণ দেখার কি কেউ নেই? সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যারা দায়িত্বে আছেন বয়লার পরিদর্শনে তারা কীভাবে এই দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। বয়লার বস্ফািরণের পর সরকারে বয়লার পরিদর্শন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা কিন্তু গণমাধ্যমে আসে না। সরকারের বয়লার পরিদর্শন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের আইনের আওতায় আনা উচিত। দেশে শ্রমজীবী মানুষের নিয়ে কথা বলার লোক নেই, যারা আছেন তারা শ্রমজীবীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। রাজনীতিকরা নিজেদের কায়েমি স্বার্থে শ্রমিকদের ব্যবহার করছেন। ঈদের দুই দিন আগে রংপুর মহাসড়কে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক উল্টে মারা যান ১৭ পোশাকশিল্প শ্রমিক। নিহত শ্রমিকরা গাজীপুর থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিল। হতভাগ্য নিহত শ্রমিকের প্রায় সবার বাড়িই লালমনির হাটে। অনেকেই দুর্ঘটনার পর এই দায় শ্রমিকদের ওপর চাপিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে কেন তারা সিমেন্টের বোঝাই ট্রাকে উঠলো। মাল ভর্তি ট্রাকে ভ্রমণ করা অবশ্যই অপরাধ। তবে প্রশ্ন জাগে, সরকার ঈদের তিন দিন আগে মহাসড়কে মালামাল পরিবহন করা যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছেন, তারপর কি করে ঈদের দুই দিন আগে গাজীপুর থেকে সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক যাত্রী পরিবহন করল। এই বিষয়টি দেখার কেউ ছিল না। একজন পোশাকশিল্প শ্রমিকের বেতন ৫৩০০ টাকা।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা রংপুরের বাসভাড়া ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়। তাই একজন পোশাক শ্রমিক স্বল্প ভাড়ার পরিবহন উঠাটাই স্বাভাবিক। সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা সবাই জানে পোশাক শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থা। দেশের অধিকাংশ পোশাকশিল্প শ্রমিক উত্তর বঙ্গের। সরকার এবং পোশাকশিল্প মালিকরা এদের বাড়ি পাঠানোর বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারেন। শিল্প এলকায় যেসব স্থানে শ্রমিকরা থাকেন তাদের কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষ বাস রয়েছে। ঈদের ছুটির সময়  এই বাসগুলো শ্রমিকদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ  বরাদ্দ দিতে পারেন। বিভিন্ন ঘটনায়  শ্রমিক মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটিত হয় না, প্রতিটি ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়, প্রকৃত দোষীকে তা রহস্যাবৃত থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ বয়লার কেন মালিক ব্যবহার করল? আর সরকারের যে বিভাগটি এই বিষয়টি দেখাশোনা করে কেন তাদের নজরে পড়ল না। তাই এ মৃত্যুর জন্য এই দুপক্ষকে দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের মৃত্যুর হাত থেকে শ্রমিকদের বাঁচাতে হলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বয়লার বিস্ফোরণ বা শিল্পে আগুন লাগার নিহত শ্রমিকদের যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় তা নিয়েও চলে নানা কারসাজি। একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার পরিবারকে কিছু টাকা দিলেই কি সব মিটে যায়? কিছু সরকারি কর্মীর দায়িত্ব অবহেলা আর মুনাফাখোর মালিকের লোভের রোষানলে পড়ে দেশের শ্রম সম্পদের অকাল মৃত্যু হচ্ছে।  উল্লেখিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, শ্রমিকের জানের নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন আছে তার শ্রমের, শ্রম নেয়ার পর তাকে নিয়ে মালিক বা সরকার কেউ ভাবে না তাছাড়া শ্রমিকের কর্মস্থল কতটা শ্রমবান্ধব সেই বিষয়টিও দেখার কেউ নেই। কারণ দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিক পেতে অসুবিধা হয় না। কৃষি খাতে বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষের জীবন জীবিকা কোনো কোনোভাবে নির্ভরশীল। দেশের মোট কর্মক্ষম জনসম্পদের ৪৭.৫ শতাংশ শ্রমশক্তি সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত। দেশের কৃষির মালিকানা চলে যাচ্ছে বড় বড় পুঁজিপতিদের হাতে। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা গড়ে তুলছে কৃষি খামার, এই টাকাওয়ালারা প্রান্তিক চাষিদের জমি টাকা দিয়ে কিনে নেয় বা বাত্সরিক ভাড়া হিসেবে খামারভুক্ত করে আর এই কারণে প্রান্তিক চাষিরা হয়ে যাচ্ছে বেকার। এই গড়ে উঠা কৃষি খামারগুলোতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উত্পাদন করা হয় ফলে শ্রমিকের প্রয়োজন হয় অনেক কম। আধুনিক প্রযুক্তি এবং কৃষি কাজে যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে প্রতি বছরই কৃষিখাত থেকে শ্রম সম্পদ উদ্বৃত্ত হচ্ছে। কৃষি খাতের উদ্বৃত্ত শ্রম শিল্প অভিমুখী হয়ে যায় কাজের আশায়। এ জন্য দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের ভালুকার দিকে ছুটছে। আর এ কারণে দেশের শিল্প কারখানা মালিকেরা সহজেই শ্রমিক পেয়ে যান। তাই দেখা যায় মালিকের কাছে শ্রমিকের শ্রমেরও গুরুত্বই বেশি ব্যক্তি শ্রমিকের নয়। কারণ একজন শ্রমিক কোনো কারণে মারা গেলে তাতে শিল্প কারখানায় শ্রমিক শূন্যতা সৃষ্টি হয় না। মালিকরা জানেন অগণিত শ্রমিক কাজের আশায় তাদের শিল্প কারখানায় আশপাশে ঘুরছে। দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে দেশের শিল্প মালিকেরা। তাই শ্রমিকদের জানের নিরাপত্তাটা তাদের কাছে মুখ্য না, মুখ্য হলো মুনাফা। সারাদেশে শ্রমিক মৃত্যুর চিত্রটা দেখলে মনে হয় শিল্প মালিকেরা অন্যান্য কাঁচা পণ্যের মতো শ্রম সম্পদকে ব্যবহার করে তাই শ্রমিকদের মৃত্যুরোধ করা জন্য তাদের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেই। দেশে নব্বই দশকের পর থেকে বেসরাকারিভাবে শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। আর সেই সময় থেকেই ঘটতে থাকে দুর্ঘটনা। সেই হিসাবে আজকের দিনে প্রায় তিন দশক পার হলো তারপর শ্রমিক মৃত্যুর রোধ করতে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, প্রতি বছরই শিল্প কারখানায় দুর্ঘটনা শ্রমিক মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। দেশে শ্রম সম্পদের কল্যাণে আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগুচ্ছে তাই যাদের শ্রমের বিনিময়ে  দেশের এই প্রাপ্তি তাদের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। দেশের সাধারণে মানুষ আর একটি শ্রমিকের মৃত্যুও দেখতে চায় না। আর যেন একটি শ্রমিকের কারখানা দুর্ঘটনায় মৃত্যু না হয় সরকার ও সংশ্লিষ্টরা সেই ব্যবস্থা নেবেন এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
লেখক: কলাম লেখক।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft