বন্যা ও আসন্ন ঈদ
Published : Friday, 25 August, 2017 at 9:07 PM, Count : 2293

ড. হুমায়ুন কবীর : আমরা ছোটবেলায় পুরোপুরি গ্রামে বসবাস করতাম। সে সময় প্রতি বছর যে বন্যা হতো সেটা আমরা এক ধরনের উপভোগ করতাম। তার কারণ ছিল, যতটুকু মনে পড়ে বন্যাটা হতো ঠিক আমন ধান লাগানোর আগে আগে। তখন মাঠে তেমন কোনো ফসল থাকত না। আর ১৯৭৪ সাল কিংবা বিশেষ বিশেষ কয়েকটি বন্যা ছাড়া বড় ধরনের বন্যার কথা মনে পড়ে না। সেই বন্যার পানিতে সাঁতার কাটা, মাছ ধরা, কলা গাছের ভেলা বানিয়ে এখান থেকে ওখানে চড়ে বেড়ানো মূলত একটি শখের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফি বছর। কিন্তু এখন বন্যা আসে ফসলসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে।
দেশে প্রতি বছরই ছোট-বড় একাধিক বন্যা হতে দেখা যায়। সেই বন্যার স্থায়িত্বের ওপর ভিত্তি করে আবার এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করে থাকে। প্রতি ১০ বছর পর বাংলাদেশের ইতিহাসে একেকটি বড় আকারের বন্যা আঘাত হানতে দেখা যায়। যাই হোক না কেন, যে কোনো ধরনের বন্যাতেই কিছু না কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েই থাকে। এই তো এ বছরই (২০১৭) মার্চ-এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের ধান ফসলের শস্যভাণ্ডারখ্যাত ভাটি অঞ্চল অর্থাত্ হাওর এলাকায় একটি আগাম বন্যায় সে এলাকার একমাত্র বোরো ধানসহ ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকৃত অর্থে দেশ এবং সরকার সে ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও দেশের একটি বিরাট অংশজুড়ে মাঝারি রকমের বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এবারের এ বন্যাটি সম্পর্কে মাস দুয়েক আগে থেকেই একটি পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল। সে পূর্বাভাস ও সতর্কতা অনুযায়ী দেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহ কিছুটা হলেও পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তার জন্যই অন্য অনেক সময়ের তুলনায় এবারে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর একটি সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য পূর্বাভাসের সঙ্গে যদি একটু মিলিয়ে দেখা যায় তাহলেই বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। পূর্বাভাসে যদিও ধারণা করা হয়েছিল এবারে বন্যাটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, যা দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে তা এখন পর্যন্ত সেরকম ভয়াবহ আকার ধারণ করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এতে আত্মতৃপ্তি নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগ নেই।
এবারের বন্যার একটি বিশেষ দিক হলো প্রথমে দেশের উত্তরাঞ্চলকে আক্রমণ করা। সাধারণত বন্যার পানি নিম্নাঞ্চল থেকে উপরের দিকে উঠতে দেখা যায়। সেখানে দেশের সবচেয়ে নিম্নাঞ্চলগুলো আগে বন্যাকবলিত হয়। পক্ষান্তরে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানসমূহ ধীরে ধীরে পরে বন্যায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু এবারের এ বন্যার কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান ইত্যাদি আমাদের প্রতিবেশী দেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানকার নদ-নদীর পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। যে কারণে তারা তাদের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়েছে। আর এ পানির প্রবাহ এসে পড়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অধিকতর উঁচু এলাকায়। তাতে স্বাভাবিকভাবে প্রতি বছর যেসব নিম্নাঞ্চল নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ইত্যাদি স্থানে বন্যা হয় সেগুলো তো আছেই, পাশাপাশি বাদ যায়নি দিনাজপুর, রাজশাহী, রংপুরের মতো উঁচু স্থানও। প্রথমে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা দিয়ে বন্যাটি শুরু হলেও তা আস্তে আস্তে সে অঞ্চলের মোট ২২টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করেছে। আর যতই দিন যাচ্ছে তা এখন উত্তরাঞ্চল থেকে ক্রমশই দেশের মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করছে এবং তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৭টি জেলাতে আঘাত করেছে। এখন উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে এবং মধ্যাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও যে বন্যার প্রকোপ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
কথায় আছে, ‘ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়’। কাজেই সারাদেশের কৃষককুল খুবই আতঙ্কের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। যদিও উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, কিন্তু আগত বন্যার প্রকোপে তাদের যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ সেসব এলাকায় কৃষি ফসলের মধ্যে আমন ধান প্রধান।
তারপর মাছ, রয়েছে শাকসবজির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদি পশুও। এসব নিত্যপণ্য পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে সেসব এলাকার কৃষককুল এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের চাল-চুলো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। বন্যার পানি চলে গেলেও পরবর্তী রবি ফসল আবাদ করার জন্য কোনো অর্থই তাদের কাছে নেই। উপরন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপন করার মতো কোনো অর্থের সংস্থান নেই। তারা এখন চরম মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। এখন কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে দেশের একমাত্র সহজে এবং কম খরচে আবাদযোগ্য আমন ধান। সেই আমন ধান আবাদের জন্য সদ্য রোপণকৃত ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এ বন্যা। অপরদিকে যে জমিতে রোপণ করতে পারেনি সেখানকার ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শাকসবজি। তবে বন্যার পানিতে পাট ভেজানোর ব্যবস্থাকরণ সহজতর হবে। বন্যায় পরিবহন ব্যবস্থা, কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, বিভিন্ন গ্রামীণ অবকাঠামোর যে স্থায়ী ক্ষতি করে থাকে তা সহজে পূরণযোগ্য হয় না কিংবা হলেও তা সময় ও ব্যয়সাধ্য হয়ে থাকে। এতে একদিকে যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে সরবরাহ কম থাকার জন্য শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। বন্যায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি কৃষি ফসলহানি, মাছ ভেসে যাওয়া, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া, রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় গবাদি পশুর। জানা গেছে এবারের বন্যায় বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রায় দুইশতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু সেসব এলাকায় ঠিক কতগুলো গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি মারা গেছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জানা যায়নি। অথচ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামনের মাসেই আমাদের অন্যতম বড় ঈদ বলে খ্যাত কোরবানির ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। সেখানে প্রতি বছর লাখো কোটি পশু কোরবানি করতে হয়। প্রশ্ন উঠে পার্শ্ববর্তী ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করার। এমনিতেই কোরবানির ঈদের আগে কথা উঠে, আমাদের দেশের কোরবানির পশুর মোট চাহিদা দেশীয় পশু দ্বারা মেটানো সম্ভব কি-না। তবে এবার সংশ্লিষ্ট মহল থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, দেশের গবাদিপশু দিয়েই কোরাবানির চাহিদা মিটবে। এবার বন্যার কারণে দেশের প্রায় ২৭টি জেলায় যদি গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে সেদিকে একটু বাড়তি নজর দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর আমরা যতটুকু জানি কোরবানির ঈদের পশু মোটাতাজাকরণসহ আরও কিছু ব্যবসায়িক ও পাইকারি কার্যক্রম চলে সীমান্ত এলাকাকে ঘিরে। বন্যার কারণে সেগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হলো সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে। আর বন্যার কারণে গবাদি পশুতে বিশেষ ধরনের কয়েকটি রোগ দেখা দেয় সেদিকেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের জনবলকে সচেতন থাকতে হবে। যে কোনো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার পর পরবর্তী সময়ে সেটা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিকভাবে পুনর্বাসন করার বিষয়টি। সেখানে সেক্টর অনুযায়ী প্রয়োজন হবে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ। যেমন যদি কৃষি পুনর্বাসনের কথা ধরা হয়, তবে সেখানে নিতে হবে কৃষি সহায়ক পুনর্বাসন কর্মসূচি। যেসব এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে সেসব এলাকার জন্য পূর্বেই উঁচু জায়গায় তৈরি করা বীজতলা হতে চারা সংগ্রহ করে তাড়াতাড়ি জমিতে রোপণ করে দিতে হবে। নিচু এলাকার জন্য আমন ধানের বীজ বিশেষ পদ্ধতিতে পুঁতে দিতে হবে। তারপর বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই জমিতে বিনাচাষে গম, ভুট্টা, ডাল, সরিষা ইত্যাদি বুনে দিতে হবে। রবি শাকসবজি হিসেবে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ইত্যাদি আবাদ করতে হলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। সে খরচ সেসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা মেটাতে পারবে না বিধায় সরকারের ব্যবস্থাপনায় সহজ শর্তে তাদের কৃষিঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মাছ চাষ, পোলট্রি শিল্প ইত্যাদির জন্য একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গবাদি পশু নিয়ে। আগেই উল্ল্লেখ করেছি গবাদি পশুর সঙ্গে আসন্ন কোরবানি ঈদের একটি বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। যে কোনো উপায়েই হোক না কেন জাতীয় স্বার্থেই এদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা ও শঙ্কামুক্ত করতে হবে। বন্যা চলাকালীন সময়ে এক ধরনের সমস্যা থাকে এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শুরু হয় অন্য ধরনের সমস্যা।
সবগুলো সম্পর্কেই সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। তা না হলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। বন্যা চলাকালীন সময়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট, মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি পশুখাদ্যের সঙ্কট ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। আর সেসব কারণে মানুষের নানা ধরনের পেটের পীড়াজনিত রোগ দেখা দেয়। সেজন্য ত্রাণ কার্যক্রম হিসেবে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের ওপর জোর দেয়া হয়ে থাকে। অপরদিকে বন্যা চলে যাওয়ার পর কৃষি পুনর্বাসন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও রাস্তাঘাট পুনঃসংস্কার করা, জরুরি ওষুধ সরবরাহ ইত্যাদি তাত্ক্ষণিক প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এখন দেশে দুই ধরনের অবস্থাই বিদ্যমান। কারণ উত্তরাঞ্চলের বন্যা কমে গেলেও মধ্যাঞ্চলে আবার বন্যা দেখা দিচ্ছে।
আবার সেখান থেকে দেশের অন্য এলাকায় সম্প্রসারিত হবে না, তা বলা যাবে না। এসব কাজে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। মানবিক এই বিপর্যয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি। এরই মধ্যে শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যকে প্রাধান্য না দিয়ে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে নিজের হাতে বানভাসিদের ত্রাণ বিতরণ করে এসেছেন।
আমরা জানি সামনের মাসে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সব কোরবানির ঈদ। আমরা এও জানি, বাঙালি জাতি হিসেবে সবসময়ই নাড়ির টান অনুভব করে। সেজন্য প্রতি ঈদে মানুষ শিকড়মুখী হয়ে গ্রামের দিকে ছোটে। কিন্তু এবারে বন্যার কারণে দেশের অনেক এলাকার রাস্তাঘাট, সড়ক-মহাসড়ক, এমনকি রেল যোগাযোগ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি তারপরও মানুষ অদম্য। তারা যেভাবেই হোক তাদের মাটির টানে ছুটে যাবেই। ইতোমধ্যে রেল, বিমান, লঞ্চ, স্টিমার, বাস ইত্যাদি বিভিন্ন যানবাহনের অগ্রিম টিকিট কাটা শুরু হয়ে গেছে। তবে যাই হোক না কেন, এসব বন্যাজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে বেসরকারি পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনকেও। তাহলে সম্মিলিতভাতে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করে ঈদের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft