শিরোনাম: |
সাকিব, মুস্তাফিজ, মিরাজের দিকে তাকিয়ে তামিম
পাকিস্তানে খেলাকে দোষের দেখছেন না তামিম
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ সঙ্গ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করতে তাদের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন তামিম ইকবাল।
বৃষ্টির বাধায় শুক্রবার অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। হোটেলে ফিরে যাওয়ার আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। সহ-অধিনায়ক বলছিলেন স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে। ‘আমার মনে হয় ২-০ ব্যবধানে জিততে হলে আগে ছোট ছোট ব্যাপারগুলো ঠিকভাবে করতে হবে। ২-০ বলে দিব আর হয়ে যাবে তা না। যে দলই জিতুক, আমি সব সময়ই বলছি প্রতিটি সেশন, প্রতিটি বল লড়াই করতে হবে। সব সময়ই একটা কথা বলে আসছি, মাঠে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। যে দল মাঠে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে, ওদের জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’ বাংলাদেশের বোলারদের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের সামর্থ্যে আস্থা রেখে নিজেদের খুব ভালো সম্ভাবনা দেখেন তামিম। ‘মিরাজ, মুস্তাফিজ দুই জনই খুব ভালো বোলার। ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের যদি এগিয়ে থাকতে হয় তাহলে তাদের খুব ভালো বল করতে হবে। বিশেষ করে সাকিব, মুস্তাফিজ, মিরাজের। ওরাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার। ওরা যদি ভালো পারফরম করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা এগিয়ে থাকতে পারবো।’ শুধু বোলারদের ভালো করলেই হবে না, ব্যাটসম্যানদেরও খেলতে হবে নিজেদের সামর্থ্যের সবটা দিয়ে। তামিম মনে করেন, ম্যাচ জিততে হলে আগে জিততে হবে ধৈর্যের পরীক্ষায়। ‘আমরা দল হিসেবে চেষ্টা করবো যেন দুটি টেস্টই জিতি। ২৭ তারিখ যখন মাঠে নামব, আমরা চিন্তাই করব যে জেতার জন্য নামছি। তবে সবারই মনে রাখা উচিত, ৫ দিনের খেলা ১ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় না। পাঁচ দিনের ম্যাচ পাঁচ দিনই খেলতে হয়। প্রতিটি মিনিট করে খেলে গিয়ে একটা ফল আসে।’ প্রথম বল থেকে সেই ধৈর্য দেখাতে প্রস্তুত তামিম। আক্রমণাত্মক বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, পুরো দলও খেলবে সেভাবেই। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব একাদশ বনাম পাকিস্তান একাদশের প্রীতি ম্যাচ। সেখানে খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল খানের। তার খেলতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেক তামিম-ভক্তই মনে করেন, তামিমের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়াটা মোটেই ঠিক হচ্ছে না। তবে তামিম মনে করছেন, পাকিস্তানে খেলাটা দোষের কিছু নয়। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কনফারেন্স লাউঞ্জে বসে অনুশীলনের পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তামিম মনে করেন, কাউকে না কাউকে এগিয়ে যেতেই হতো। এখানে দোষের কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটিং ১০টা দেশ একটি পরিবারের মতোই। একজনকে না একজনকে তো সাহায্য করতেই হবে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে।’ তামিমের মতে, পাকিস্তানে বিশ্ব একাদশের খেলার এই উদ্যোগটা খুবই ভালো। বলেন, ‘তারা একটা চমত্কার জিনিস আয়োজন করছে। আশা করি, যদি সফলভাবে আয়োজন করতে পারে তারা। তাহলে দেখবেন সামনে আরও টিম খেলতে যাবে সেখানে (পাকিস্তানে)।’ বাংলাদেশি এই ওপেনার মনে করেন, এমনটা আরও আগে শুরু হওয়া দরকার ছিল, ‘একটা সময় এটা শুরু হওয়া দরকার ছিল। আমরা প্রথমেই শুরু করলাম। আমার কাছে মনে হয় এটা একটি খুবই চমত্কার উদ্যোগ, যেটা আর একটু আগে শুরু হলে ভালো হতো।’ এছাড়া তামিম টুর্নামেন্টের মান এবং বিশ্ব একাদশকে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়েও কথা বলেন, ‘দেখুন, প্রথমত এটা আইসিসি অনুমোদিত একটা টুর্নামেন্ট। এছাড়া এটার একটা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটাস আছে। দ্বিতীয়ত, আমার কাছে মনে হয়, বিশ্ব একাদশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা বড় ব্যাপার। এর জন্য আমি গর্বিত।’ বিশ্ব একাদশ: ফ্যাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, হাশিম আমলা, স্যামুয়েল বাদ্রি, জর্জ বেইলি, পল কলিংউড, বেন কাটিং, গ্র্যান্ট এলিয়ট, ডেভিড মিলার, মর্নে মরকেল, টিম পেইন, থিসারা পেরেরা, ইমরান তাহির ও ড্যারেন স্যামি। |