অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ
Published : Saturday, 16 September, 2017 at 10:04 PM, Count : 2246

মোতাহার হোসেন : দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় দুই দফায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর আগে দেশের হাওয়ার অধ্যুষিত ৮ জেলা একবার অবসময়ে পাহাড়ি ঢল এর পরপরই বন্যায় ধান ক্ষেতের পাকা ধান, গোয়ালের গরুর, পুকুরের মাছ, মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট তলিয়ে যায় পানির নিচে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছে। আর্থিক বিবেচনায় এই ক্ষতি ব্যাপক, বিপুল এবং অপূরণীয়। এ ধরনের বন্যা, পাহাড়িঢল পুরো দেশের মানুষের জন্য, সরকারের জন্য শুসংবাদ নয়, বরং কষ্টের, বেদনার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগ, কষ্ট লাগবে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলে বন্যাকবলিত এলাকা সফরে গিয়ে বলেছেন, পরবর্তী মৌসুমের ধান না ওঠা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এসব দুঃসংবাদের মধ্যে আশাজাগানিয়া ৩টি খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে। এ এসব খবর প্রকাশিত হয়েছে অল্প সময়ের ব্যবধানে। সেই সুসংবাদ নিয়েই এ নিবন্ধ। কারণ দুঃখ, হতাশা, কষ্টের মধ্যে, ভালো খবর, ভালো কাজ হতাশাগ্রস্ত মানুষকে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়, অনুপ্রেরণা জোগায়। ঠিক তেমনি সরকারকেও ভবিষ্যত্ পথ চলায় শক্তি, সাহস ও উত্সাহ জোগায়। একই সঙ্গে এ ধরনের খবরে বিশ্বে দেশের ও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, সুনাম বাড়ে। এর একটি হচ্ছে: এমনি অবস্থায় মাথাপিছু জিডিপিতে পাকিস্তানকে ছাড়াল বাংলাদেশ বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে এটি পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দরিদ্র একটি দেশ। সে সময় বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল মাত্র ৬-৭ শতাংশ, যা পাকিস্তানে ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি। তবে সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রমেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সূচকে পেছনে ফেলেছে পাকিস্তানকে। সর্বশেষ মাথাপিছু জিডিপিতেও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ‘দ্য ইকোনমিস্টে’ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে পাকিস্তানের মাথাপিছু জিডিপি যেখানে ছিল ১ হাজার ৪৭০ ডলার সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ১ হাজার ৫৩৮ ডলার। গত মাসে এই হিসাব প্রকাশ করা হয়। তবে গত ২৫ আগস্ট প্রকাশিত পাকিস্তানের সর্বশেষ আদম শুমারির তথ্য মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, সর্বশেষ ওই শুমারির তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের জনসংখ্যা এখন ২০ কোটি ৭৮ লাখ, যা দেশটি জনসংখ্যা নিয়ে আগের যে ধারণা ছিল তার ৯০ লাখেরও বেশি। পাকিস্তানের জনসংখ্যার নতুন এই তথ্য হয়তো দেশটিকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনবহুল দেশে পরিণত করেছে, তবে এই সংখ্যা তাদের মাখাপিছু জিডিপিকে ৪-৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে, যা এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। মাথাপিছু জিডিপিতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক। গত ১০ বছর ধরেই বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে, যা গত দুই বছরে ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটির জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ২৯ শতাংশ। এক সময় পরিধেয় বস্ত্রের অভাবে থাকা দেশটি এখন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রফতানি করে। এখনও বাংলাদেশে কাজের পরিবেশের মান যেখানে থাকা উচিত সেখানে পৌঁছায়নি, তবে এক সময় যা ছিল তার চেয়ে এটি এখন অনেক ভালো। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধিতে আরও একটি উত্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশের আদম শুমারির তথ্যও দেশটির মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। ২০১১ সালে করা বাংলাদেশের ওই শুমারিতেও পাকিস্তানের মতো ব্যাপক সংশোধন হয়েছিল, তবে পাকিস্তানে যেখানে শুমারির পর জনসংখ্যা প্রকৃত তথ্য বেড়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা কমেছে। এ প্রসঙ্গে মরমি কবি , গবেষক ইবনে সালেহ মুনতাসির রচিত ‘ব্যবসার পরিবেশ; শীর্ষক লিরিকট প্রাসঙ্গিক বলে প্রতিয়মান হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের মাঝে আছে যে এক সোনার দেশ/ দক্ষিণ এশিয়ার রাণী উদিয়মান অর্থনীতির বাংলাদেশ/ যে দেশের মাটিতে সোনা ফলে রত্ন আছে জলে/রত্নগর্ভা যে দেশ তার নাম হলো বাংলাদেশ যে দেশে বীর বীরাঙ্গনারা শুয়ে আছে মাটির তলে/ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে জীবন দেয় মায়ের ভাষার টানে/ যে দেশ একবুক রক্তের সাগরে দাড়িয়ে সবাইকে যায় ছাড়িয়ে/ বিশ্ব অর্থনীতি দাপিয়ে বেড়ায় বিশ্ব নেতৃত্বের ঘোড়া হাকায় অপার সম্ভাবনার দেশ আমাদের বাংলাদেশ/মেগা প্রকল্পের ভীড়ে মেগা বাজেটের নীড়ে সুশাসন গোরে রেমিট্যান্সের জোরে প্রবৃদ্ধি ছুড়ে বিনিয়োগ নাহি ঝরে সময় আজ সুশাসনের সময় আজ টেকসই উন্নয়নের/সময় আজ সততার সময় আজ ন্যায় বিচারের/সময় হয়েছে আজ সুনির্দিষ্ট সকল আইন প্রণয়নের.. দ্বিতীয় খবরটি হচ্ছে, ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপারসের (পিডব্লিউসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে ‘উচ্চতর প্রবৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশ।’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৬২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৫০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। আইসিসি’র সর্বশেষ (এপ্রিল-জুন ২০১৭) সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালে বিশ্বের ৩২টি বৃহত্ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম ছিল উল্লেখ করে এতে বলা হয়, এক দশকে বাংলাদেশের জিডিপি মোটামুটি শতকরা ছয় ভাগের ঘরে থাকার পর ২০১৬-১৭ আর্থবছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনাম দ্রুততম প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে এবং সার্বিকভাবে বিশ্বে বৃহত্ অর্থনীতিতে ২৩তম স্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। পিডব্লিউসি পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটির ভিত্তিতে জিডিপি ৩২টি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করেছে এবং তা ২০৫০ সাল পর্যন্ত তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য বিজনেস ইনসাইডার’ তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এশিয়ায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা রাখছে এবং বর্তমানে এশিয়ান টাইগারের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে গড়ে এখন বার্ষিক শতকরা ৬ ভাগেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।
বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তি প্রচেষ্টা, নিষ্টা, শতভাগ আন্তরিকতা, মানুষ , দেশের প্রতি তার কমিটমেন্ট প্রভৃতি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি , জীবনমানের উন্নয়ন, শিক্ষা, ক্রিকেটসহ খেলাধুলার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত্সহ সব সেক্টরে ঈষণীয় সফলতায় দেশের মাসুষ যেমনি এর সুফল ভোগ করছেন, তেমনি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এ মুহূর্তে ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির বাংলাদেশ কয়েকটি বৃহত্ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পদ্মা সেতু, ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভারস, কয়েক ডজন অর্থনৈতিক জোন ও পায়রা সমুদ্রবন্দর। সুদের হার পতন, অর্থসংস্থানে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি, পোশাক শিল্পে কাজের পরিবেশের উন্নতিসহ বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তনের ফলে ব্যবসায়ীদের নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এবং রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত অর্থবছরে অনেকগুলো ফাস্ট-ট্র্যাক প্রকল্প বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।
 এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের জন্য ১১ দশমিক ৫ বিরিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে। এটি এই উপমহাদেশে রেলের ক্ষেত্রে এডিবির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ রেললাইনটি ট্রান্স-এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ, যা মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার উন্নত করবে।’ তৃতীয় খবরটি হচ্ছে ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে ২৮ দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ। এ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফলাও করে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এটি গত ১৬ আগস্ট সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্যা বাসেল ইন্সটিটিউট অন গর্ভানেন্স বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরুপণপূর্বক ২০১৭ সালের ‘বাসেল এএমএল সূচক-২০১৭’ প্রকাশ করে। মানি লন্ডারিংও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।বাসেল এন্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচকে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে ২৮টিদেশকে পেছনে ফেলে র্যাংকিংয়ে ৫৪ নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হতে ৮২ নম্বরে উঠে এসেছে।এই সূচকে সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। সূচক অনুযায়ী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে ইরান, আফগানিস্তান এবং সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকির নিরিখে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মধ্যে আফগানিস্তানের অবস্থান ২ নম্বরে, মিয়ানমার ১৩, নেপাল ১৪, শ্রীলঙ্কা ২৫, পাকিস্তান ৪৬, বাংলাদেশ ৮২ এবং ভারত ৮৮ নম্বরে রয়েছে। আর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ১১৬ ও ১১৮ নম্বরে রয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং(এপিজে) ২০১৬ সালে যে মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানে মানি লন্ডারিংও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে বলে উল্ল্লেখ করা হয়। যা বাসেল এএমএল সূচকে বাংলাদেশকে দ্রুত ওপরের দিকে উঠে আসতে বিশেষ সহায়ক হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিংও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এপিজির মিউচুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৬টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২২টিতে অধিকাংশ কমপ্লায়েন্ট এবং ১২টিতে আংশিক কমপ্ল্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফ এর ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।
বাসেল এএমএল সূচক মোতাবেক দ্রুত উন্নয়নকারী ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে সুদান, তাইওয়ান, ইসরাইল, বাংলাদেশ, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, লুক্সেমবার্গ, লাটভিয়া ও গ্রিস। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থাটি গত ছয় বছর যাবত্ কোনো একটি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ঘাটতি, সরকারি অর্থায়ন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার ঘাটতি, উচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক, আর্থিক মানদ্ল ও স্বচ্ছতা এবং দুর্বল রাজনৈতিক অধিকার ও আইনের শাসন; এই পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাসেল এএমএল সূচক নির্ধারণ করে থাকে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গৃহীত সব কর্মসূচির সঠিকও সময় মতো বাস্তবায়ন। একই সঙ্গে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আরও গতি পাবে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত ও সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশ আরও বেশি সম্মানের, মর্যদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ- সেদিন দূরে নয়, অতি নিকটে।

[লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট]



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft