খাদ্যে ভেজাল: আমরা কি বাঁচব না?
Published : Monday, 23 October, 2017 at 8:21 PM, Count : 1772

মীর আবদুল আলীম :  ভেজালে ছেয়ে গেছে দেশ। বোধ করি খাদ্যে এমন ভেজাল আর কোনো দেশেই নেই। ছোট বেলায় আমার চাচা বলতেন, ‘বাবারে! কম খাবি তো বেঁচে যাবি।’ তার কথা কম খাবারে কম ভেজাল; আর তাতেই তার দৃষ্টিতে বেঁচে যাওয়া। তিনি বেঁচে নেই, অর্ধজীবন পার না করতেই ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার কথার মমার্থ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ২২ অক্টোবরের খবরটা ছিল খুবই বেদনাদায়ক। যখন কলেজে পড়ি তখন এক বন্ধুর সঙ্গে খুব ভাব হয়েছে আমার। সে ছিল আমার জানের দোস্ত। ফুসফুসে ক্যানসারে প্রাণের দোস্তটা সেদিন মারা গেছেন। চলতি সপ্তাহে আমার এলাকার (নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ) এক জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমার কাছে ক্ষমা চাইছিলেন। কি হয়েছে বলতেই তিনি জানালেন, ডাক্তার তাকে জনিয়েছেন, ৮০ ভাগ লিভারই নাকি নষ্ট হয়ে গেছে তার। ভয় হচ্ছে; ভীষণ ভয়! আমিও ক্যানসারে আক্রান্ত নইতো? পরিবারের সদস্যরা ভালো আছেনতো? পাঠক আপনারাই বা কতটা সুস্থ আছেন? সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি আপনারা সুস্থ থাকুন। কিন্তু যেভাবে ভেজা খাবার খাচ্ছেন তাতে কতদিন সুস্থ থাকবেন? এ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
‘মাছে-ভাতে বাঙালি’র মাছে ফরমালিন আর ভাতের চালে প্রাণঘাতী ক্যাডমিয়াম! বাঙালি মাছ-ভাত খেয়েই বাঁচে। সে জায়গায়ও বিষের ছড়াছড়ি। খাদ্য যদি অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের মানুষ কী খাবে? কেবল মাছ-ভাত নয়, সব খাবারই তো ভেজালে ভরা। সেদিন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রের প্রশ্ন ছিল এমন- ‘বাবা! কচুতে মাছি, ফলে নেই কেন?’ বাবার কাছে প্রশ্নটা করলেও উত্তরটা কিন্তু তার ঠিকই জানা। লোভনীয় ফলে মাছি ভনভন করার কথা কিন্তু কোথাও মাছি নেই। সে জানে বিষাক্ত ফরমালিন আর কার্বাইডের কারণে মাছিরা উধাও। পত্রপত্রিকা আর টিভি দেখে সে এসব জেনেছে। তাই বাবার কাছে ছেলের এমন রহস্যজনক প্রশ্ন। পিতা এ প্রশ্নে কি উত্তর দেবেন? ওই শিক্ষার্থীর এমন প্রশ্নের জবাব দিতেও বিব্রত পিতা।
ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেটার মাথার চুলে চোখ পড়তেই চোখ যেন ছানাবড়া। সাদা চুলে আটকে গেল চোখ। অসংখ্য চুলে পাক ধরেছে। ভাগ্নেটার চোখে মোটা পাওয়ারওয়ালা চশমা। বিছানায় কাতরাচ্ছেন ক্যানসারে আক্রান্ত চাচি। খাবারে ভেজালের জন্যই এমনটা হচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে? মাছ, ফলমূল, তরকারিতে কোথায় নেই এই জীবনহন্তারক ফরমালিন। তেলে ভেজাল, এমনকি নুনেও ভেজাল। কেউ কেউ তো বলেনই বিষেও নাকি ভেজাল। তাই যা হওয়ার নয়, তাই হচ্ছে। কিডনি নষ্ট হচ্ছে, ক্যানসার আর হার্টস্ট্রোকে অহরহ মরছে মানুষ। আমাদের অতি আদুরে সন্তানরা অকালে ঝরে যাচ্ছে এসব অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে। সব খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষ। আর সেই বিষ খেয়ে আমরা আর বেঁচে নেই। জীবিত থেকেও লাশ হয়ে গেছি। এ যেন জিন্দা লাশ। রোগে-শোকে কয়েকটা দিন বেঁচে থাকা এই আর কি। প্রতিনিয়তই তো বিষ খাচ্ছি। দৈনিক যুগান্তরে আমার কলামে লিখেছিলাম, ‘আমরা প্রতিজনে, প্রতিক্ষণে, জেনেশুনে করেছি বিষপান। আরেকটি কলাম- কত কিছু খাই; ভস্ম আর ছাই।’
আমাদের দেশে ভেজালের যে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন থামছে না কেন? দেশে সরকার, পুলিশ প্রশাসন, আইন-আদালত থাকা সত্ত্বেও ভেজালের দৌরাত্ম্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ হয়েছে তাতেও যেন কিছুই এসে যায় না, ভেজালকারীদের দাপট চলছেই। এভাবেই কি চলবে? একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা সভ্যতার মাপকাঠিতে এদিক থেকে জংলি যুগের চেয়েও পিছিয়ে আছি। কারণ আর যাই হোক, জংলি যুগের অধিবাসীরা ভেজালের মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হওয়ার কথা ভাবতেও পারত না। প্রশ্ন হলো কেন ভেজাল খাচ্ছি? ভেজাল দিচ্ছে কেন? ভেজাল রোধ করতে পারছি না কেন? জঙ্গি দমন করতে পারছে সরকার, শত ষড়যন্ত্রেও জাল ভেদ করে পদ্মা সেতু করতে পারছে, মেট্রো রেলে চড়ার স্বপন দেখছি আমরা। সবই হচ্ছে ভেজাল কেন কেন রোধ হচ্ছে না?
ভেজাল ঠেকাতেই দেশে বিএসটিআই রয়েছে (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন)। জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তারা কি করছে? এ বিভাগটির সুফল আশান্বিত হওয়ার মতো নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভেজাল ও অননুমোদিত খাদ্যসামগ্রী উত্পাদন ও বিক্রির দায়ে বিএসটিআই মাঝেমধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। আদায় করে লাখ লাখ টাকা জরিমানাও। কিন্তু তাদের এ কর্মকাণ্ড অনেকটাই লোক দেখানোর মতো। ভেজালের দায়ে অভিযুক্ত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই জরিমানা পরিশোধের পর সবাইকে ম্যানেজ করে আবারো সেই একই অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। বরং ওদের প্রশ্রয়ে অপকর্ম বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা এর জন্য বিএসটিআইকেই দায়ী বলে মনে করেন। নিধিরাম সর্দারের মতো শুধু মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায়ের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা। ফলে ভেজালের কারবারিরা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই মাছে মিলছে বিষাক্ত ফরমালিন, ফলে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথেফেন, প্রোফাইল প্যারা টিটিনিয়াম (পিপিটি) পাউডার, বিস্কুটসহ বেকারি দ্রব্যে রয়েছে বিষসমতুল্য রঙ আর মুড়িতে মেশানো হচ্ছে কৃষিকাজে ব্যবহূত ইউরিয়া সার। এর বাইরেও রয়েছে নানা রাসায়নিক সংমিশ্রণের কারসাজি।
ভেজালের বিরুদ্ধে দেশে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়, সভা-সেমিনার হয়; কিন্তু ভেজাল রোধ হয় না। এ বিষয়ে দেশে আইন আছে; সেই আইনে কারো কখনো শাস্তি হয় না। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এ ব্যাপারে কখনোই সচেতন হয়ে ওঠে না। জনগণও না। দেশে বছরজুড়েই নানা ইস্যুতে আন্দোলন হয়, হরতাল-অবরোধ হয়; কিন্তু ভেজালের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেয়া হয় না কখনো।
প্রকৃতই ভেজালকারীদের সংখ্যা এত বেশি যে, ভেজালের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমাদের রাজনৈতিকদের উল্টো না ভেজালে জড়িয়ে পড়তে হয় এ ভয়ে হয়তো তারা একদম রা.. (শব্দ) করেন না। ফলে আজ ভেজাল খেয়ে আমাদের এ কি অবস্থা! হাসপাতালগুলোতে কত ধরনের রোগ-বালাই নিয়েই না ছুটছে মানুষ। মানুষ যত না বাড়ছে তুলনামূলক হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে। যে উপজেলায় আমার জন্ম সেখানে ১০ বছর আগে ২ লাখ লোকের জন্য ছিল সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দুটি হাসপাতাল। এখন তিন লাখ লোকের জন্য হাসপাতাল গড়ে উঠেছে ১১টি। এ কথা সত্য যে ভেজাল খেয়ে মানুষ শুধু অসুস্থই হচ্ছি না, প্রতিদিন মরছে অসংখ্য মানুষ। ভেজাল রোধ না হলে, খাদ্যে ভেজালের গতি এমনটাই যদি থাকে তাহলে যে হারে মানুষ মরবে তা শুধু দেশবাসীকেই নয়, যারা সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন তাদেরও মাথাব্যথার কারণ হবে। প্রশ্ন হলো- কীভাবে ভেজাল রোধ করা যায়? মাত্র ৬ মাসের কর্ম-পরিকল্পনায়ই ৮০ ভাগ ভেজালমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে মনে করি। কিন্তু কীভাবে?
(১) দেশে ভেজালবিরোধী জাতীয় কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটিতে সত্ এবং যোগ্য চলতি দায়িত্বে থাকা এবং অবসরপ্রাপ্ত আমলারা থাকবেন। অবসরপ্রাপ্ত সত্ ব্যক্তিদেরও এ কমিটির আওতাভুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এক সময়ে রাজধানী ঢাকার ভেজালের বিরুদ্ধে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ম্যাজিস্ট্রেট রোকন-উদ-দৌলাকে বেশি কাজে লাগানো যেতে পারে। তিনি অল্প সময়ে ভেজালকারীদের হূদপিণ্ডে কম্পন ধরাতে সক্ষম হন। রাজনৈতিক কারণে তার সফল উদ্যোগ আর সামনে এগোয়নি। তিনি যেহেতু এ বিষয়ে সফল এবং অভিজ্ঞ তাকে সারাদেশের ভ্রাম্যমাণ টিম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। আর এ দায়িত্ব হতে হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।
(২) খাদ্যে ভেজালে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে। সেই সঙ্গে অপরাধীদের ধরে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
(৩) প্রকাশ্যে সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। সাজা হতে হবে শারীরিক এবং আর্থিক।
(৪) বর্তমানে বিতর্কিত র্যাবকে ভেজালের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ৬ মাস মাঠে রাখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভেজালের বিরুদ্ধে র্যাবকে মূল ভূমিকায় রাখা যেতে পারে। র্যাব সদস্যদের ভেজাল রোধে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ শপথবাক্য পাঠ করানো যেতে পারে। 
(৫) ৬ মাস প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যকর থাকতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ভেজালবিরোধী জাতীয় কমিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি র্যাব ভূমিকা রাখবে। এতে কেবল ভেজালই রোধ হবে না, ভেজাল রোধ হলে দেশবাসীর বিতর্কিত র্যাবেরও বাহ্বা মিলবে। র্যাবের বর্তমান সময়ের বিতর্কিত অবস্থা লাঘব হবে। সহসাই দুর্নাম ঘুচিয়ে জনবান্ধব হয়ে উঠবে র্যাব।
(৬) অন্য কোনো ইস্যুতে যেহেতু সম্ভব নয়, অন্তত দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনের কথা ভাবনায় এনে আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রী ভেজালের ব্যাপারে প্রথমে ঐকমত্য হতে হবে। মাত্র ৬ মাস তারা এ বিষয়ে অন্তত সভা-সেমিনার বৈঠক এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবে সরকার। অন্যান্য দলীয় রাজনীতিকদেরও তাতে সম্পৃক্ত করতে হবে। সব দলই দলীয় অন্য কর্মসূচির পাশাপাশি ভেজালের বিরুদ্ধে অন্তত ৬ মাস মাঠে সরব থাকবেন। এ অবস্থায় ভেজাল রোধ হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
সভ্যসমাজে খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি একেবারে অকল্পনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটি নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোথায় ভেজাল নেই, সেটি নিয়েই এখন গবেষণা করা দরকার। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের কারণে বর্তমানে দেশে শুধু ক্যানসার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি। ক্রমেই এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার নিয়ে বর্তমানে মানুষের মনে একটা ভয় তৈরি হয়েছে; কারণ একটাই ভেজাল খাবার। ভেজাল খাবার গ্রহণের ফলে মানুষের রোগ-বালাই যে বেড়েছে তা হাসপাতাল গুলোতে ঢুকলেই বেশ টের পাওয়া যায়। আমি নিজেও একটি হাসপাতালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। গত দশ বছরে ওই হাসপাতালের আয় ৪ গুণ বেড়েছে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। রোগ-বালাই রেড়েছে তাই রোগীর ভিড় বেড়েছে। 
ছয় বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা লোকের সংখ্যা কমতে কমতে এখন ১২ দশমিক ৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণ এখন একটু পয়সা বেশি দিয়ে হলেও নিরাপদ খাবার চায়। আমাদের দেশের কিছু অশুভ ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের অজ্ঞতার কারণে সেটা অসম্ভব হয়ে পরেছে। এই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে হবে। জনগণের হাতে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। সরকারকে তা করতেই হবে। মানুষ না বাঁচলে দেশ দিয়ে কি হবে। অসুস্থ জনগণ নিয়ে সুস্থ দেশ কি করে আশা করি আমরা? ভেজাল রোধের দায়িত্ব শুধু সরকারের তা ভাবলে কিন্তু চলবে না। এ দায়িত্ব আপনার, আমার, আমাদের সবার। আমরা কেন ভেজাল খাব? আমরা কেন ভেজাল দিব? ১৬ কোটি মানুষের নিরাপদ খাদ্য জোগান সরকারের একার পক্ষে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানে আমদের সোচ্চার হতে হবে। কষ্ট লাগে তখনই যখন ভাবি, এত বড় একটা ইস্যু নিয়ে আমাদের দেশের কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। কেউ কিছু বলছে না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও তা মিনেমিনে প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা সবাই যেন গোগ্রাসে এসব ভেজাল খাবার গিলছি আর চিকিত্সকের কাছে গিয়ে নিজের জীবনের সঞ্চয়গুলো তুলে দিচ্ছি। সব সঞ্চয় শেষ করলেই কি রেহাল মিলবে? পরিবারকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়ে একদিন পাড়ি দেবেন অজানা দেশে।
এভাবেইতো চলছে আমাদের জীবন! এভাবে আর চলে না। আমরা নিরাপদ খাদ্য পেতে চাই; আমরা নিরাপদ খাদ্য আমাদেও সন্তানের মুখে তুলে দিতে চাই। আপনারা, আমরা, এ রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে জেগে উঠুক ভেজালের বিরুদ্ধে। ‘ভেজাল দেব না, ভেজাল খাব না, ভেজাল কারবারীদের আর রক্ষা নেই’ এই হউক আমাদের আজকের স্লোগান।
লেখক: কলামিস্ট



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft