শিরোনাম: |
আত্মঘাতী হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় স্মার্টফোন!
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনে কাটানো সময়কে বিষণ্নতা এবং আত্মহত্যার জন্য বর্তমান সময়ের একটি বড় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। গবেষক দলের পক্ষ থেকে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির টমাস জিনডার বলেন, ‘আত্মহত্যা, বিষণ্নতা, আত্মহত্যার চিন্তা-ভাবনা এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টাগুলোর মাধ্যমে মৃত্যুর সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের পর্দায় অত্যধিক সময় কাটানোর একটি সম্পর্ক রয়েছে।’ তার মতে, এই মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলো খুবই গুরুতর। বাবা-মায়ের এখন থেকেই তাদের সন্তানদের এ সমস্ত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ে ভাবা উচিত। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ৪৮ শতাংশ টিনেজার যারা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে প্রতিদিন পাঁচ বা তারও বেশি সময় ব্যয় করে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। জার্নাল ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সে প্রকাশিত এই গবেষণার ফলাফল থেকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, যেসব টিনেজ ডিভাইসে বেশি সময় ব্যয় করে তারা বিভিন্ন কারণে জীবনে অসুখী। গবেষণায় দেখা যায়, যেসব টিনেজ ক্রীড়া এবং ব্যায়ামের মতো অফ-স্ক্রিন কার্যক্রমের ওপর মনোনিবেশ করেন, যারা বন্ধুদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেন, নিয়মিত হোমওয়ার্ক করে এবং উপাসনালয়ে যায়, তারা অনেক বেশি সুখী। আমেরিকান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) এক তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী টিনেজারদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং আত্মহত্যার হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে। সিডিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আত্মহত্যার হার ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বয়স্কদের মধ্যে ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিশোর মেয়েদের মধ্যে এ আত্মহত্যা হার ৬৫ শতাংশ এবং তীব্র বিষণ্নতায় ভোগার হার ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। - মুঠোয়বিশ্ব ডেস্ক |