জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব
মহাসড়কে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, কমেছে দূরপাল্লার বাস
Published : Saturday, 6 August, 2022 at 3:18 PM, Update: 06.08.2022 3:20:25 PM, Count : 1026

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাসযাত্রী ও আমন চাষীসহ সাধারণ মানুষের ওপর। সরকারি ঘোষণা ছাড়াই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাস ভাড়া। মধ্যরাতে তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই মহাসড়কের বাসচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে জানা যায়। আজ শনিবার (০৬আগষ্ট) ঢাকা-ময়মনসিংহ মাহসড়কে চলাচলকারী একাধিক বাসচালক, হেল্পার ও যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, আগে লোকাল বাসে ভালুকা থেকে ঢাকার মহাখালী পর্যন্ত যেতে বাস ভাড়া ছিল এক শ টাকা বা তার কিছু বেশি। তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ভালুকা থেকে মহাখালী যেতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দুই শ টাকা। তাছাড়া, ভালুকা থেকে সিডস্টোর পর্যন্ত যেতে ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২০টাকা। ভালুকা থেকে মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ভাড়া ছিল ২০টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০-৪০টাকা। ভালুকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ১ শ টাকা। 

পাশাপশি, মহাসড়কে দূর পাল্লার বাসের সংখ্যাও কমেছে অনেক। ফলে যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। অপর দিকে, তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের ওপর। ঢাকা যাওয়ার জন্যে ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষমান আতিকুল ইসলাম ও আবদুল কাদিরসহ একাধিক যাত্রী জানান, আগে তারা এক শ বা তার কিছু বেশি ভাড়ায় ভালুকা থেকে ঢাকায় যেতে পারতেন। এখন ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দুই শ টাকা। রাস্তায় বাসও কম। তাই, সবাই পড়েছেন চরম। এখন উপায়ন্ত না থাকায় বাধ্য হয়েই দুই শ টাকা ভাড়ায় তাদেরকে ঢাকায় যেতে হবে।

এবিষয়ে কথা হলে একাধিক চালক জানান, তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের গাড়ির জ্বালানি খরচ অনেক বেশি বেড়েছে। কাজেই, সরকারি নির্দেশনা ছাড়াই তারা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। তবে, যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। আলমগীর হোসেন নামে এক সংবাদকর্মী জানান, সংবাদের প্রয়োজনে তাকে আজ অনেকটা সময় ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করতে হচ্ছে। তাঁর দৃষ্টিতে আজ (শনিবার) মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ি সংখ্যা অনেক কম।

আলাল উদ্দিন নামের এক কৃষক জানান, হঠাৎ করে তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। ট্রাক্টর দিয়ে আগে যে জমি এক হাজার টাকায় চাষ করানো যেত, এখন সেই জমি চাষে দুই হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। চরম হতাশাও বিরাজ করছে তার মতো কৃষকদের মাঝে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft