৫ বছরে ভুট্টার উৎপাদন কোটি টনে উন্নীত করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
Published : Sunday, 15 November, 2020 at 1:11 PM, Count : 1697

বর্তমান প্রতিবেদক: আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন এক কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। গত শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। উন্নতজাত উদ্ভাবন হয়েছে, অনুকূল কৃষি জলবায়ু রয়েছে ও কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যার ফলে ভুট্টার উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। অন্যদিকে, দেশে-বিদেশে ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য হিসেবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহƒত হচ্ছে। সেজন্য ভুট্টার উৎপাদন আরও বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন বছরে ১ কোটি টনে উন্নীত করতে কাজ চলছে। আর এটি করতে পারলে ভুট্টা উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে রফতানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ভুট্টার উৎপাদন ২০০৯ সালে ছিল সাত লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০ সালে যা বেড়ে হয়েছে ৫৪ লাখ টন। অন্যদিকে, ভুট্টার চাহিদা বছরে ৬৫ থেকে ৭০ লাখ টন। আর দেশে ২০২০ সালে গম উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টন। এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে গমের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, অথচ উৎপাদন খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষি জলবায়ু গম চাষের খুব অনুকূল না হওয়ায় গমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয়। তবে এ দেশের উপযোগী আরও উন্নত ও উৎপাদনশীল জাত নিয়ে আসতে পারলে গমের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চাহিদার পুরোটা না হলেও অন্তত অর্ধেক উৎপাদন করা সম্ভব। এ সময় মন্ত্রী সিমিট এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফ বলেন, সিমিট ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। সিমিট বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার উন্নয়নে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্লাস্ট ও ফল আর্মিওয়ার্মসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও দমনে সহায়তা আরও বাড়াবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সিমিট ১৯৮৩ সাল থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার চাষ, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে আসছে। বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, জার্মপ্লাজম, উন্নত জাত উদ্ভাবন, ফসলের রোগ প্রতিরোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সিমিট ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। সিমিট বাংলাদেশে সম্প্রতি দেখা দেয়া গমের ব্লাস্ট রোগ এবং ভুট্টার ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার দমন ও মোকাবিলায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সিমিটের সদর দফতর মেক্সিকোতে অবস্থিত। শুক্রবারের ভার্চুয়াল সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. এছরাইল হোসেন, সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিমিটের কর্মসূচি পরিচালক ব্রুনো জেরার্ড ও বিএম প্রসন্ন। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মøল।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft