শিরোনাম: |
নরসিংদীতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে শিশু সাদিয়া হত্যার রহস্য উৎঘাটন
আসামী গ্রেফতার, আদালতে চার্জশিট দাখিল
|
তারেক পাঠান, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর বানিয়াছলে সাদিয়া আক্তার তানহা (২) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটন ও প্রকৃত খুনিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। আজ ২০ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত সাদিয়া আক্তার তানহা ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার গইদখালী গ্রামের সোহাগের মেয়ে। সে পিতার মাতার সাথে নরসিংদীর বানিয়াছল এলাকার মৃত মোস্তফার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল।
ঘটনার বিবরণী,মামলার এজাহার ও নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটা নিয়ে স্বামী সোহাগের সাথে আসামী কোহিনুর বেগমের ঝগড়া হয়। আর এ ঝগড়াকে কেন্দ্র গত ১৩ মে সন্ধ্যায় স্বামীর বানিয়াছল এলাকার ভাড়া বাসায় আসামী কোহিনুর বেগম তার শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার তানহা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে আসামী কোহিনুর তার পিতা-আব্দুর রউফ ওরফে রব্বানীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা বাড়ীতে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। পরে ১৭ মে নিহত সাদিয়ার পিতা-মোঃ সোহাগ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে আসামী করে অভিযোগ দাখিল করলে বিষয়টি তদন্ত করে ৩০২ ধারা-পেনাল কোডে হত্যা মামল রুজু করে পুলিশ। যার থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-১৭/০৫/২০২১ইং । পরবর্তীতে এ মামলার সঠিক সমাধান করতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশ ও নরসিংদীর পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহেদ আহমেদের সঠিক তদারকীতে অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাকির হোসেন আসামী কোহিনুর (২৪)কে মামলা রুজুর ০১ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাকির জানান,আসামী কোহিনুর বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ময়না তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে মামলার তদন্ত সমাপ্ত করে মামলা রুজুর ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয় স্যার মামলাটি রুজু হবার পর থেকেই তদারকি করেছেন। স্যারের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় ঢাকা রেঞ্জের সকল থানায় হত্যা ও অপমৃত্যু মামলার ক্ষেত্রে দিনে দিনে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতারসহ সকল সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হচ্ছে। |