শিরোনাম: |
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিনকে চাকুরী হতে অপসারনের নেপথ্যের কারণ
|
বর্তমান প্রতিবেদক: দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শরিফ উদ্দিনকে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই চাকুরী হতে অপসারণ করা হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। উক্ত সূত্রে জানা যায়, আদালতের অনুমোদন ব্যতীত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কক্সবাজার শাখার একটি ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন স্থগিত করেন। বিষয়টি উচ্চ আদালতে প্রমান হওয়ায় তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের বিষয়টি ধরা পড়ে।
এছাড়া কক্সবাজার জেলায় RAB কর্তৃক পরিচালিত অপারেশনে জব্দকৃত ৯৩,৬০,১৫০ টাকার চালান রাষ্ট্রীয় কোষাগার অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দুদকের ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন হয়। এছাড়াও, চট্টগ্রাম জেলা হতে পটুয়াখালী জেলায় বদলির আদেশ হওয়ার পর বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট দায়ের এবং নির্ধারিত সময়ের এক মাস পরে যোগদানপত্র ই-মেইলে প্রেরণ এবং পরবর্তী এক মাস পরে স্ব-শরীরে নতুন কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া। পুরাতন কর্মস্থলের নথিপত্র হস্তান্তর না করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান এবং তৎপরবর্তী আড়াই মাস পরে নথিপত্র হস্তান্তর করা। সূত্র দাবি করছে- আরও কিছু সুনির্দিষ্ট অনিয়মের তথ্য রয়েছে বরখাস্তকৃত দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শরিফ উদ্দিনকে নিয়ে- চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পৃথক ৬ জন ব্যক্তি কর্তৃক উপসহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, চাঁদাবাজি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির অভিযোগ দাখিল করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) ধারায় প্রদত্ব ক্ষমতা বলে কমিশন শরিফ উদ্দীনকে চাকুরীচ্যুত করে। ৫৪(২) ধারায় বলা আছে, "কমিশন কোন প্রকার কারন ব্যাতিরেখে ৯০ দিনের নোটিশে কিংবা ০৩ মাসের বেতন ভাতাদি পরিশোধ পূর্বক যেকোন কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করতে পারবে"। |