বুধবার ১৪ মে ২০২৫ ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
ফেসবুক মানুষকে অসুখী করে
Published : Saturday, 24 December, 2016 at 6:00 AM, Count : 349

একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ জনপ্রিয়। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ফেসবুক ছাড়া মনে হয় বেঁচে থাকাই দায়। এই যখন ফেসবুকের অবস্থা তখন ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণা বলছেনিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার মানুষকে অসুখী করে তুলছে এবং ফেসবুকে বন্ধুদের কর্মকাণ্ড দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে বিষণ্নতায় ভুগছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ফেসবুক থেকে লম্বা সময় দূরে ছিলেন, তারা জীবন নিয়ে বেশি সন্তুষ্ট।

১০৯৫ জন মানুষের ওপর এ গবেষণাটি চালিয়েছে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়। এদের অর্ধেককে তাদের ফেসবুক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে আর বাকি অর্ধেক মানুষকে ফেসবুকে লগ ইন না করতে বলা হয়েছে।

দেখা গেছে, বন্ধু তালিকায় থাকা মানুষদের কর্মকাণ্ড দেখে যারা হিংসা করতেন, ফেসবুক ব্যবহার না করায় তারা সবচেয় বেশি লাভবান হয়েছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে লেখক মর্টেন ট্রমহোল্ট লিখেছেন, প্রতিদিন ফেসবুকে লাখ লাখ ঘণ্টা কাটানো হয়। অবশ্যই অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আমরা এখন একে অপরের সঙ্গে বেশি সংযুক্ত, কিন্তু এ সংযুক্ত থাকাটা কি আমাদের জন্য ভালো?

নতুন এ গবেষণা অনুসারে উত্তরটি হচ্ছে না

আসলে যোগাযোগ ও অন্যের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করাটা এক ধরনের অভ্যাসগত অবসর, যা আমাদের ভালো থাকার ওপর নানাভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে।

গবেষণায় অংশ নেয়া মানুষদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ নারী, যাদের গড় বয়স ৩৪ এবং ফেসবুকে কমপক্ষে ৩৫০ জন বন্ধু আছে। এ নারীদের সবাই সারা ডেনমার্কের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।

গবেষণা শেষে দেখা গেছে, যারা ফেসবুক ব্যবহার করেছে, জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয়ে তারা নিজেদের দশের মধ্যে ৭.৭৪ মার্ক দিয়েছেন। আর যারা ফেসবুক ব্যবহার করেননি, একই মাপকাঠিতে তাদের মার্ক ৮.১১।

ফেসবুক ব্যবহার ছেড়ে দিলে অন্যদের চেয়ে তারাই বেশি লাভবান হয়, যাদের মনে বন্ধু তালিকায় থাকা মানুষদের কর্মকাণ্ড দেখে হিংসা জাগে। ১৯-৩২ বছর বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন বলে এ গবেষণাতেও দেখা গেছে। আগেও বিভিন্ন গবেষণাতে একই চিত্র পাওয়া গিয়েছিল।

ট্রমহল্ট বলেন, কেউ যদি অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তার ভালোর জন্য হলেও ফেসবুক ব্যবহার কমানো উচিত

 

- জীবনযাপন প্রতিবেদক



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com