শিরোনাম: |
বিলীন হতে যাচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের রহিমগঞ্জ গ্রাম
|
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেলেও যে মানুষটি স্বাধীনতা যুদ্ধে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিলেন, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষীত হয়ে ছিলেন সেই বীরশ্রেষ্ঠের জন্মভূমি গ্রামটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের করালগ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারের কোনো কার্যকরী ভূমিকা নেই। বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি জাদুঘরটিকে নদীর ভাঙন যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অচিরেই হয়তো বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি জাদুঘরটি সন্ধ্যার অতল গর্ভে হারিয়ে যাবে। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটকের পদধূলি পরে স্মৃতি জাদুঘরটিতে। অগণিত পাঠক-পাঠিকার ভিড় জমে বীরশ্রেষ্ঠের জাদুঘর ও পাঠাঘর অভ্যন্তরে। নদীর অব্যাহত ভাঙনের হাত থেকে বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি জাদুঘরটি রক্ষা করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। পর্যটকদের পদচারণায় সারাক্ষণ মুখরিত থাকে স্মৃতি জাদুঘর ক্যাম্পাস। নতুনদের আগামনে ও পাখির কল-কাকলিতে ভারি হয়ে ওঠে বিকেলের জাদুঘর প্রাঙ্গণ। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে জাহাঙ্গীর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বন্দিত্বের নাগপাশ ছিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। তিনি একনাগাড়ে ৯ মাস শত্রুপক্ষের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। অবশেষে ১৪ ডিসেম্বর রেহাইচরের ভেতর দিয়ে নৌকাযোগে মহানন্দা নদী পার হওয়ার পর হঠাত্ শত্রুপক্ষের একটি বুলেট এসে জাহাঙ্গীরের কপাল ভেদ করে যায়। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয় এ বীরকে। তোমাকে দেখে দুঃখ হয় বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পরেই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়, ফিরে পায় লাল সূর্যের স্বাধীন বাংলাদেশ। বীরশ্রেষ্ঠ সন্তানেরা স্বাধীনতার স্বাদ না পেলেও বাংলার মানুষের হূদয়ে তারা থাকবে চীর অম্লান, অক্ষয়, অমলীন। বিলীন হতে যাওয়া বীরশ্রেষ্ঠের রহিমগঞ্জ গ্রাম নদী ভাঙনের গ্রাস থেকে রক্ষা করে বীরশ্রেষ্ঠের বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিতে এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছেন। |