শিরোনাম: |
ট্রাম্পের নতুন মুসলিমবিরোধী নিষেধাজ্ঞাও আইনি বাধায়
|
![]() ট্রাম্পের মুসলিম অভিবাসীবিরোধী আগের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়ে যায়। নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির পরে তিনি বলেন, নতুন নির্বাহী আদেশ সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন মার্কিন রাজনীতিকরাও। সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা চাক শুমার এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থেকে ক্ষুদ্র একটি অংশ সরিয়ে নিলেও তা নিষেধাজ্ঞাই থাকে। এমন ভয়াবহ নির্বাহী আদেশের ফলে আমরা আরও অনিরাপদ হয়েছি। এটা মার্কিন মূল্যবোধের পরিপন্থী। এটা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞাটিকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির প্রধান টম পেরেজ বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করাটা পার্টির সদস্যদের দায়িত্ব। ’নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের যেসব নাগরিকের বৈধ ভিসা নেই, তারা আগামী ৯০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগের নিষেধাজ্ঞার মতোই শরণার্থী গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে তা ১২০ দিনের জন্য। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন সংশ্লিষ্ট ৬টি মুসলিম দেশের গ্রিন কার্ডধারীরা। এবার নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে ইরাককে। ১৬ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হবে। ২৭ জানুয়ারি জারি করা আগের নিষেধাজ্ঞায় ইরাক অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল অনির্দিষ্টকাল। |