শিরোনাম: |
মাধ্যমিকে হচ্ছে না বার্ষিক পরীক্ষা
সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা
|
![]() ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হবে: ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া হবে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সে জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা এখন এমন একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, খুব বেশি সামনে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। এসএসসির জন্য কি হবে, আগামী এইচএসসির জন্য কি হবে, সব বিষয় নিয়ে আবারও আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে সব শিক্ষার্থীকে আমি বলব, যাদের সামনের বছর এসএসসি ও এইচএসসি আছে, তারা অবশ্য অবশ্যই নিজেরা নিজেদেরৃ সবার কাছে বই আছে, যতদূর সম্ভব অনলাইনে অ্যাকসেস করবেন। আপনারা পড়াশোনা চালিয়ে যান। কারণ পরীক্ষা যদি কিছু দিন পরেও হয়, সময়মতো হয়তো করার আমরা চেষ্টা করব, সময়মতো হলে তো হলোই, না হলে যদি কিছু দিন পরেও হয় তা হলেও কিন্তু পরীক্ষা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের প্রস্তুতিটি ভালোভাবে নিয়ে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দীপু মনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী বছর করোনা পরিস্থিতি আরও অনেক ভালো অবস্থায় থাকবে ইনশাল্লাহ, তখন এই পরীক্ষাগুলো নেয়া যাবে। যারা পরীক্ষার্থী তাদের অনুরোধ করব আপনারা দয়া করে আপনাদের পড়াশোনাগুলো চালিয়ে যাবেন। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করি সময়মতো সব পরীক্ষা হবে। তবে তা নির্ভর করবে কোভিড পরিস্থিতির ওপর। এ মুহূর্তে অনুমান করা সম্ভব নয় ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে বা মার্চের পরীক্ষা মার্চে হচ্ছে কিনা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিান বন্ধ করে দেয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষাপ্রতিানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হবে: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হলেও কারিগরির পরীক্ষা হবে। এ শিক্ষা হাতে-কলমে শিখতে হয় বলে তাদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণ বিষয়ে পরীক্ষা ছাড়া ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হলেও কারিগরি শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। কারিগরি শিক্ষার্থীদের লেখার চাইতে ব্যবহারিক পরীক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। সেটি না শিখলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, কারিগরি স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পরীক্ষা নেয়া বলে জানান তিনি। গত আট মাস ধরে কারিগরি-ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দ্রুততম সময়ের ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। এরপর তাদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশ হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ডিপ্লোমাধারীরা কর্মস্থলে যোগদান করতে পারছে না। দীর্ঘসময় এ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে থাকায় তারা বিপাকে পড়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা আয়োজনের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারিগরির সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ষ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করতে এনসিটিবি নতুন করে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেয়া হবে। এটি মূল্যায়নের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। অনার্সে পরীক্ষা ছাড়া ডিগ্রি নয়: শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়া ডিগ্রি দেয়া ঠিক হবে না। কারণ এই ডিগ্রি নিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের কর্মক্ষেত্রেও অন্যভাবে দেখা হতে পারে। এ পরীক্ষা কীভাবে নেয়া হবে তা ভেবে দেখা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনার্সের শিক্ষার্থীরা জানান তাদের কিছু পরীক্ষা হয়ে গেছে। কিছু পরীক্ষা বাকি। তারা অটোপাসের দাবি জানান, সার্বিক বিবেচনায় অনার্সের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেয়া ঠিক হবে না। তাদের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত করা হবে নাকি অন্য কোনো পদ্ধতিতে নেয়া হবে তা ভেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে সাধারণ বিষয়ে পরীক্ষা ছাড়া ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হলেও কারিগরি শিক্ষায় তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কারিগরি শিক্ষার্থীদের খাতা-কলমে লেখার চেয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। সেটি না শিখলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ স্তরের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে। কারিগরি স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। আট মাস ধরে কারিগরি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে। এরপর তাদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশ হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ডিপ্লোমাধারীরা কর্মস্থলে যোগদান করতে পারছে না। দীর্ঘ সময় এ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা আয়োজনের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরির সব স্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। |