শিরোনাম: |
খুলেছে দোকানপাট-শপিংমল
|
![]() রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও দোকানিরা দোকার খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বড়বড় মার্কেটগুলোর প্রধান গেটে ক্রেতাদের আটকে রাখা হলেও ভেতরে দোকানিরা পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। দোকানিরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন দোকান বন্ধ থাকায় ধুলাবালি জমে গেছে। যে কারণে তারা সকাল থেকে ধোয়ামোছার কাজ করছেন। সকালে পল্টনের ফলওয়েল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে মার্কেটের বাইরে সাধারণ ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। তাদের মার্কেটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যারা দোকানমালিক তারা ভেতরে ঢুকছেন। ফকিরাপুল মোড়ের এপেক্স শোরুমে দেখা গেছে, শোরুমটি খোলা হয়েছে। তবে ভেতরে কোনও গ্রাহক নেই। শো রুমের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ঘোষণা আসার পর আমরা মার্কেট খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। সকাল থেকে ধোয়ামোছার কাজ করেছি। ১০টার পর ক্রেতারা আসবেন।’ নয়া পল্টনের সিটি হার্ট শপিংমলে দেখা গেছে, মার্কেটটির প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। গেটের সামনে নিরাপত্তা কর্মীরা আইডি কার্ড দেখে দোকানের কর্মচারী বা স্টাফদের মার্কেটে প্রবেশ করাচ্ছেন। আর বাইরে অবস্থান করছেন ক্রেতারা।’ দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী মো. শামীম বলেন, ‘১০টার পর থেকে আমরা মার্কেট খুলে দেবো। এখন শুধু স্টাফদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটেও দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি দেখা গেছে। কেউ কেউ দোকান খুলছেন আবার কেউকেউ খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া পাড়ামহল্লার সব দোকানপাট সকাল ৯টা থেকে খুলেছেন দোকানিরা। সেসব দোকানে স্বাস্থ্যবিধির কোনও তোয়াক্কা দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর অন্যান্য এলাকার চিত্রও একই। ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন নির্দেশনা দিয়ে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ তর কার্যকর করা হয়েছে। |