শিরোনাম: |
পিসিটি পরিচালনা চুক্তি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে: প্রধানমন্ত্রী
|
![]() আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনিসহ সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহের উপস্থিতিতে সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং ‘আরএসজিটি’-র সিইও জিন্স ও ফোলি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরআগে সৌদি মন্ত্রী সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা এই ‘কনসেশন চুক্তি’ স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করছি, তাই আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের অপেক্ষায় আছি যেখানে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।’ তিনি বলেন, আরএসজিটি আগামী ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে। এটি বিশেষকরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একটি আশার আলো। সরকার প্রধান বলেন, স্বনির্ভর এই আধুনিক টার্মিনাল বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে, নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সহজ করবে এবং কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘এটি বিশ্ব বাণিজ্যের একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। আমাদের ব্যবসার জন্য বিশ্বের সাথে সংযোগ স্থাপনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টার্মিনালটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। কারণ, ভারত, ভুটান এবং নেপালও এই টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে সৌদি আরবের বিনিয়োগ বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। শেখ হাসিনা বলেন, আরএসজিটি সৌদি সরকার কর্তৃক মনোনীত একটি স্বনামধন্য গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর। তিনি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের কারনে সৌদি সরকারকে তাঁর আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বীকৃতি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি জেদ্দা বন্দর এবং অন্যান্য টার্মিনাল পরিচালনার জন্য খ্যাতি অর্জনকারী আরএসজিটি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালও তার দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সাথে পরিচালনা করবে।’ এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম আরও দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মান পূরণ হবে বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘এরফলে, আমাদের অর্থনীতি আমদানি-রপ্তানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে উপকৃত হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি আস্থা ও সহযোগিতার জন্য বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দৃঢ় সমর্থনের জন্য সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও তার প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনার প্রতিশ্রুতি গভীরভাবে প্রশংসিত।’ |