শিরোনাম: |
স্মার্ট পুলিশ গড়তে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
|
![]() শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের বন্ধু হিসেবে পুলিশকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে তাদের কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি। ‘পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে এটাই সব সময় কাম্য’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনায় সব সময় পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কভিডের কারণে কেউ মারা গেছেন, আত্মীয় স্বজন লাশ ফেলে চলে গেছেন কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, কাফন-দাফন, সৎকারের ব্যবস্থা করেছে। ফোন করলে রাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ সব সময় মানুষে পাশে থেকে সেবা করে থাকে। এমনকি ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ মানুষকে সহায়তা করে। আমরা সবসময় চেয়েছি পুলিশ বাহিনীকে সেভাবে গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। তারপরও পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পুলিশ বাহিনীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ৪০০ কর্মকর্তা ও সদস্যকে পদক ও সম্মানসূচক ব্যাজ পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |