শিরোনাম: |
বরিশালে সেনা সদস্যকে অপহরণ!
বিএনপি নেতাসহ গ্রেফতার-৩, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১২ নেতার নামে মামলা
|
![]() তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। সন্ধ্যার দিকে আদালতে উপস্থিত করা হলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পলাতক আসামিরা হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুল আলম মিঠু, বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ রাঢ়ী, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও হোটেল রিচমার্টে মালিক বেলায়েত হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নিজামুর রহমান নিজাম ও সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা রুবেল, গণপাড়ার মো. জাহিদ। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী মতিন কাজীর ব্যবসায়ীক অংশীদার ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষী আব্দুল বাসেত জানান, বরিশালের হিজলা উপজেলার বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় যান তারা। এতে বাধা দেন আসামিরা। জোর করে দরপত্র জমা দিলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায় আসামিরা মতিনের ভাতিজা সেনা সদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকায় রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তিনি নিজেকে সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পরিচয় দেয়ার পরও তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণলংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা রেখে দেয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ৩ জনকে আটক করে। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব দেওয়ান মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নুর হোসেন সুজন ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকারকে আটক করেছে। হোটেলে আরও অনেকে থাকলেও তারা নানা কৌশলে পালিয়ে যান। মামলার স্বাক্ষী বাসেত আরও জানান, ১৩ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে মেঘনার বালুমহাল তারা ইজারা পেয়েছেন। তবে মামলার অন্যতম আসামি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক ফরিদা বেগম জানান, ফরিদা অভিযোগ করেন, সোমবার প্রত্যুষে একদল যুবক নগরীর চাঁদমারী এলাকায় তার বাসায় হানা দিয়ে তার দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। দরপত্র ক্রয়কারী মফিজুল ইসলাম নামক আরেকজন অভিযোগ করেন, তিনি সাড়ে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার কেটেও দরপত্র জমা দিতে পারেননি। মেঘনার বালুমহাল পুন:দরপত্রের জন্য আবেদন করবেন তিনি। এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব দেওয়ান মনির হোসেনের নেতৃত্বে গোটা উপজেলায় লুটপাট চালানো হয়। তাদের এই লুটপাটের হাত থেকে রেহাই পায় খোদ নিজ দলীয় নেতাকর্মীরাও। উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের এক বিএনপি নেতা প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। তাদের এসব কর্মকান্ডের লিখিত অভিযোগ দিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অর্ধশত নারী-পুরুষ। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার কারণে বারবার রেহাই পেয়ে যান। ওই স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার নেতৃত্বেই মূলত গ্রেপ্তার তিনজনসহ আসামীরা ৫ আগষ্ট পরবর্তী অবৈধভাবে বালু কেটে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরিশালের হিজলা উপজেলায় সাংগঠনিক সফরে আসলে দেয়াদবি করে তৎকালীন ছাত্রদল সভাপতি মনির হোসেন। তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল মনিরকে ছাত্রদল থেকে বহিস্কার করেন। |