যদিও আসল পরীক্ষা এখনো বাকি, ১০ জুন খেলতে হবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। তবে তার আগে অনুপ্রেরণার উৎস পেল বাংলাদেশ। ভুটানের বিপক্ষে জয়ের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ল হামজায় উজ্জীবিত লাল-সবুজ বাহিনী।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার প্রস্তুতি হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বুধবার (৪ জুন) মাঠে নামে বাংলাদেশ। যেখানে জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকেরা জয় পেয়েছে ২-০ গোলে।
যদিও প্রীতি ম্যাচ, তবে উদ্দীপনার কমতি ছিল না এই ম্যাচকে ঘিরে। তবে সেই উন্মাদনা বেড়ে যায় একাদশ ঘোষণার সাথে সাথেই। হামজা ছাড়াও একাদশে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেন ফাহমিদুল ইসলাম ও কাজেম শাহ।
দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সমর্থকদের আনন্দে ভাসান হামজা চৌধুরী। ম্যাচের শুরুতেই উল্লাসে মাতান সমর্থকদের। লাল-সবুজের জার্সিতে পেয়ে গেলেন প্রথম গোল।
ভুটানের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাত্র ষষ্ঠ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করেন তিনি। কর্নার থেকে জামাল ভূঁইয়া বল উড়িয়ে মারলে তাতে কপাল ছুঁয়ে জালে বল পাঠান হামজা। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এগিয়ে যাবার পর ভুটানের ওপর চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে জামাল ভূঁইয়ারা। একের পর এক আক্রমণে সফরকারীদের কোণঠাসা করে রাখেন স্বাগতিকরা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল আর দেখা দেয়নি বিরতির আগে।
ম্যাচের ৩০ ও ৩১ মিনিটে দু’টি সুযোগ হাতছাড়া করেন ফাহমিদুল। প্রথমে রাকিবের থ্রু বল থেকে তার নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন ভুটান গোলকিপার। পরের মিনিটে কাজেমের ব্যাকহিল থেকে বল পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
অন্যদিকে, ৩৬ মিনিটে গোলের সামনে প্রায় ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন জামাল, বাংলাদেশ অধিনায়কের শট ভুটান ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় আটকে যায়। পরের মিনিটে রাকিব প্রায় একই জায়গায় পেলেও গোল করতে পারেননি।
এদিকে ভুটান বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও বিপদে পড়তে হয়নি গোলকিপার মিতুল মারমাকে। শুরুতেই এগিয়ে যাবার পরও বিরতির আগে আর কোনো গোল পায়নি লাল-সবুজ বাহিনী। কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি হামজা চৌধুরী। তাকে উঠিয়ে নেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বিশ্রাম দেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকেও। সব মিলিয়ে তিনজনকে পরিবর্তন করে বাংলাদেশ।
হামজা, জামাল ও কাজেম শাহকে বসিয়ে কাবরেরা মাঠে নামান মোরসালিন, রিদয় ও ইব্রাহিমকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই দ্বিতীয় গোলটা পেয়ে গেল জামাল ভূঁইয়ারা। হামজার পর স্কোরশিটে নাম লেখালেন সোহেল রানা।
৪৯ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন। ভুটান পিছিয়ে যায় ২-০ গোলে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
এদিকে, ৬০ মিনিটের মাথায় ফাহমিদুলকেও তুলে নেন কোচ। তিনি মাঠ ছাড়ার পর গতি কিছুটা কমে এলেও শেখ মোরসালিন, ফাহিম এ ইব্রাহিমদের চেষ্টায় আক্রমণের ধার অটুট থাকে। তবে আর গোল আসেনি।
অন্যদিকে, ইনজুরি সময়ে ভুটানের নামগয়ালের দারুণ শটে ব্যবধান কমার সম্ভাবনা জেগেছিল। তবে দুর্দান্ত এক সেইভে মিতুল মারমা নিশ্চিত করেন ক্লিনশিট। এছাড়া পুরো ম্যাচে তাকে বড় কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।