শিরোনাম: |
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ক্যাস্ত্রোকে বিদায়
|
বিপ্লবের নেতা ব্যক্তিপূজার সব ধরনের বিকাশের প্রবল বিরোধী ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, কিউবায় ফিদেলের কোনো মূর্তি বা আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে না। ফিদেলের দেহভস্মবাহী শকট রাজধানী হাভানা থেকে রওনা হয়ে চার দিনের ভ্রমণ শেষে শনিবার সান্তিয়াগোতে পৌঁছায়, এ সময় হাজার হাজার মানুষ ‘ফিদেল দীর্ঘজীবী হও!’, ‘আমি ফিদেল’ স্লোগানে দেয়। ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া ও বলিভিয়ার নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা ও দিলমা রৌসেফ। ঐতিহাসিক মনকাদা সেনানিবাস দিয়ে ফিদেলের দেহভস্মবাহী শকট এগিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত হাজার হাজার কিউবানের অন্যতম তানিয়া মারিয়া জিমেনেজ বলেন, আমরা যারা ফিদেলকে ভালোবাসি, আমাদের সবার কাছে তিনি বাবার মতো। তিনি আমাদের জন্য পথ পরিষ্কার করে দিয়েছেন, জনগণ তাকেই অনুসরণ করবে। ১৯৫৩ সালের ২৬ জুলাই বিপ্লবীদের ছোট একটি দল সান্তিয়াগোর মনকাদা সেনানিবাস আক্রমণ করেছিল, এ দলটির অংশ ছিলেন ফিদেল। ওই হামলা ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু এখান থেকেই কিউবার বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, যার আঁচে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কিউবার ফুলজেন্সিও বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে একদলীয় ব্যবস্থায় কিউবা শাসন করেছিলেন ফিদেল। সমর্থকরা বলেন, তিনি কিউবাকে কিউবাবাসীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার শাসনামলে কিউবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমান অর্জন করে, যার কারণে বিশ্বব্যাপী তিনি দারুণ প্রশংসিত। অপর দিকে সমালোচকরা তাকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে বিবেচনা করেন, যিনি বিরোধিতা ও ভিন্নমত সহ্য করতেন না। ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যজনিত কারণে বিপ্লবী সহযোগী রাউল ক্যাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। ফিদেলের দেহভস্ম সান্তিয়াগোর ইফিজেনিয়া কবরস্থানে রাখা হবে, কিউবার স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর হোসে মার্তিও এখানে চিরশয্যায় শায়িত আছেন। |