শিরোনাম: |
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভিডিও তথ্যভাণ্ডার করবে জিপি
|
সম্প্রতি রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন তাদের এ উদ্যোগের কথা জানায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বি ফারবার্গ, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানসহ মন্ত্রণালয় ও গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেশ কয়েকটি তরুণ দল মুক্তিযোদ্ধারা যে যেখানে আছেন সেখানে গিয়ে তাদের মুখ থেকে যুদ্ধের গল্পগুলো ভিডিও করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। আলাদাভাবে সংগৃহীত এসব মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথা ডকুমেন্টারির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। পরে সেগুলো একত্রিত করে অনলাইন ভিডিও সংগ্রহশালা তৈরি করবে গ্রামীণফোন। গল্প সংগ্রহ করতে দেশের ৬৪টি জেলায় মোট ২০টি দল একযোগে কাজ করবে। দেশের সাধারণ জনগণ তাদের পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য ওয়েবসাইটে (.িবশধঃঃড়ত্বত্শড়ঃযধ.পড়স) প্রদান করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ ভিডিও লাইব্রেরি তৈরির কাজটি শুরু করায়। আশা করবো, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরতে গ্রামীণফোনের মতো এগিয়ে আসবে।’ তিনি আরও জানান, একাত্তরের কথা শীর্ষক এ উদ্যোগটি আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী তিন মাস। আগামী বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে গ্রামীণফোন আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও সংগ্রহশালাটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেবে। এটি সবার জন্য অনলাইনে উম্মুক্ত থাকবে। গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি। তাই এখনই সময় ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের একেবারে সত্য গল্পগুলো সংরক্ষণ করা। আমরা জাতিগতভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। তাদের গল্পগুলো অজানা থেকে গেলে ভবিষ্যত্ প্রজন্ম, এমনকি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’ - মুঠোয় বিশ্ব ডেস্ক |