বৃহস্পতিবার ৮ মে ২০২৫ ২৫ বৈশাখ ১৪৩২
মধুমতি নদীর ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে লোহাগড়ার মানচিত্র
Published : Wednesday, 21 December, 2016 at 6:00 AM, Count : 184

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে ্লমধুমতির তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ফলে পাল্টে যাচ্ছে লোহাগড়ার মানচিত্র মধুমতি নদী তীরবর্তী উপজেলার ওই ইউনিয়নে রামচন্দ্রপুর, চর-শালনগর, চর-মাকড়াইল, শিয়রবর, মাকড়াইল, কাশিপুর, নওখোলা, দিগনগর, কাতলাশুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্রোতের তোড়ে শালনগর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী প্রায় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে ভাঙনের কবলে পড়েছে এলাকার হাটবাজার, বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ, স্কুল, আবাদি জমি, রাস্তা ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মধুমতির ভাঙন চললেও তা রোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙনের মুখে পড়ে এলাকাবাসী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন তাদের ঘরবাড়ি

ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে কেউ প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে, আবার কেউবা রাস্তার পাশে ছাপড়া তুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন

শালনগর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মো. আমিনুর মোল্যা বলেন, বাপদাদার সামান্য কৃষি জমি ছিল সেই জমি চাষবাস করে বেঁচে থাকলেও তা এবার সর্বনাশা নদী গিলেছে চার শতক জমিতে বসতভিটা আছে শুকনো মৌসুমে যেভাবে নদী ভাঙছে যদি সরকার ভাঙনরোধে কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এবার হয়তো তাও হারাতে হবে বলে আশঙ্কা করছি

শিয়রবর বাজারের ব্যবসায়ী নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে বাজারে ব্যবসা করে আসছি শুরুতে বাজারটি প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে ছিল তত্কালীন সময়ে কয়েক জেলার মধ্যে এই বাজারটি ছিল অন্যতম মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙনে এখন বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেলেও ভাঙনরোধে সরকারি কোনো পদক্ষেপ আজও নিতে দেখা যায়নি হোটেল ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার শেখ বলেন, চলতি বছরেই ভাঙনের কবলে পড়ে তিন বার দোকানঘর সরাতে হয়েছে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী রাজ্জাক মোল্যা বলেন, বাজারের এমন কোনো দোকান নেই যে, থেকে বার সরাতে হয়নি

বিষয়ে শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান তসরুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বহু পরিবার বসতভিটা হারিয়ে এখন নিঃস্ব ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে দিনে দিনে এসব জনপদ বিলীন হয়ে যাবে ব্যাপারে আর্থিক সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, আমরা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি ইতিপূর্বে ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com