শিরোনাম: |
যমুনার চরে শীতকালীন সবজির আবাদে চাষির ভাগ্যবদল
লাউ বিক্রি হবে কোটি টাকার
|
চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদত্ হোসাইন সিদ্দিকী জানান, এবছর যমুনার চরাঞ্চলে ৭০ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে। সে মোতাবেক হেক্টর প্রতি ৩০০ মণ ফলন হিসেবে মোট ২১ হাজার মণ লাউ উত্পাদিত হবে। যার আর্থিক মূল্য দাঁড়াবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা। জানা যায়, যমুনার চরাঞ্চল অধ্যুষিত চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি, তেঘুরি, নওহাটা, কুরাগাছা, সদিয়া চাঁদপুরের বোয়ারকান্দি, বারবয়লা, বেতিল চর, উমারপুর, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, বেলকুচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বেড়াখারুয়া, বড় বেড়াখারুয়া, বেলকুচি চর, বড়ধুল ইউনিয়নের ক্ষিদ্রচাপরী, চরবেল, ষোলশত জাঙ্গালিয়া, গাছচাপরী, বিলমসিহা, রাজাপুরের রাঁন্ধুনী বাড়ি চর, চকমকিম পুর ও শাজদপুর উপজেলা পূর্বাঞ্চলের সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার, ছোট চানতারা, বড় চানতারা, কৈজুরি ইউনিয়নের ভারধিগুলিয়া, ঠুটিয়ার চর, ভাটপাড়া, গালা ইউনিয়নের বাঙালির চর ও গালার চরসহ তিন উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলের ঘেঁষা প্রায় প্রতিটি চরের বাড়িতে বাড়িতে ও জমিতে লাউ ও শীতকালীন অন্যান্য সবজির আবাদ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরই সবচেয়ে বেশি লাউয়ের আবাদ করেছেন এসব চরাঞ্চলের মানুষ। চরের কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর নদী ভাঙন ও দফায় দফায় বন্যা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিও হয়েছে বার বার। যার কারণে সবজি চাষে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের। বন্যার পানি এসে আউশ, আমন ও সবজি ফসল নষ্ট করে দেয়। ওই সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মাঝে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ করেন। কৃষকরা পলিথিনে, মাটির পাত্রে, ভাঙ্গা পাত্রে বীজ বপনের ব্যবস্থা করেছেন, যাতে বন্যার পানি বা বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়। এরপর বন্যার পানি সরে যেতেই চারা বড় হয়ে যায় এবং দ্রুত ফল দিতে শুরু করে। এদিকে চৌহালী উপজেলার কুরকী মোল্লাপাড়া, কুরকী নতুনপাড়া, কোদালিয়া, খাষপুকুরিয়া মাস্টারপাড়া, মধ্যজোতপাড়া ও বৈন্যা গ্রামের অর্ধশত কৃষক পরিবারে শীতকালীন সবজি চাষে সফলতা এসেছে। তারা এখন প্রতি বছরই শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বিশেষ করে লাউয়ের বাম্পার ফলন দেখে অনেকেই লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অনেকেই আগামী বছর থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাউ চাষের স্বপ্ন দেখছেন। এদিকে লাউয়ের সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম কমেনি খুব বেশি। গড়ে প্রতিটি লাউয়ের দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা। এলাকার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে পাইকাররা এসে সড়ক ও |