শিরোনাম: |
মিথ্যা সংবাদ থেকে বাঁচতেই টুইটার ব্যবহার করেন ট্রাম্প
|
![]() সবচেয়ে কম জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প: শপথ গ্রহণ করতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে গত চার দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে কম। এমন তথ্যই উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে চালানো এক জনমত জরিপে। জনমত জরিপে অংশ নেয়াদের মাত্র ৪৪ শতাংশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সাজানো প্রশাসনকে পছন্দ করেছে। অপরদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনকে অপছন্দ করছে ৫২ শতাংশ। যেখানে জনমত জরিপে বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এই জনপ্রিয়তার হার ছিল ৬১ শতাংশ। এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্ট গত ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ওই জনমত জরিপ চালায়। নিজ পার্টির সদস্যদের মধ্যে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৭ শতাংশ ট্রাম্প প্রশাসনকে সমর্থন দিচ্ছে। যেখানে ওবামার ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯৪ শতাংশ। জরিপে দেখা যায়, নির্দলীয়দের মধ্যে মাত্র ৪২ শতাংশের সমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে। যেখানে ২০০৯ সালে ওবামার প্রতি সমর্থন ছিল ৮০ শতাংশের। তবে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশের সমর্থন পাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও বর্ণবৈষম্য ও নারী বিদ্বেষের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে যথাক্রমে মাত্র ৪০ ও ৩৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার তিন দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হয়েছে। আমেরিকারই এক নারী এ মামলাটি করেছেন। এর আগেও বেশ কয়েকজন নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। তবে এমন অভিযোগে মামলার ঘটনা এই প্রথম। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে মামলার বিষয়ে ঘোষণা দেন সামার জার্ভোস নামের ওই নারী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেড। মামলার বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে ট্রাম্প বা তার দলের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে অক্টোবর মাসে ‘অ্যাকসেস হলিউড’ নামের একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর। ওই ভিডিও প্রকাশের পর কেবল ট্রাম্পের বিরোধীপক্ষ ডেমোক্র্যাটই নয়, নিজের রিপাবলিকান শিবিরেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই অনুষ্ঠানে তার করা মন্তব্যের কারণে ক্ষমাও চাইতে হয় তাকে। অক্টোবর মাসে ওই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার দিন ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি যা বলেছি এবং যা করেছি তার জন্য অনুতপ্ত। এক দশক আগের যে ভিডিও আজ প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার ওই ধরনের আচরণেরই একটি। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, এই কথাগুলো আমার প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে যা বলেছিলাম, তা ছিল ভুল এবং তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ওই ঘটনার পর ‘অ্যাকসেস হলিউড’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক চাকরিচ্যুত হন। রিপাবলিকান নেতা ও হাউস স্পিকার পল রায়ান ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগকে তারকাখ্যাতি পাওয়ার উপায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং অভিযোগকারীদের মিথ্যাবাদীও বলেন। কোনো নারীকে যৌন হয়রানি করেননি বলেও দাবি করেন। ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পও তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো উড়িয়ে দেন। ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পও জোর দিয়ে বলেন, তার বাবা এমন কাজ করার মতো মানুষ নন। |