শিরোনাম: |
সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে নির্মম হামলা করবে উত্তর কোরিয়া
|
![]() গত এক বছরে দুটি পরমাণু পরীক্ষা এবং বেশ কয়েকটি মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া যা প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াকে উদ্বিগ্ন করেছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে গত ১১ মার্চ অনেক বিদেশি বিমান তাদের স্থল ও জলসীমা ঘেঁষে অতিক্রম করেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কার্ল ভিনশনকে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া বার্ষিক সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত সপ্তাহে জাপান সাগরে চারটি মিসাইল ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। তারা এই মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন তার প্রথম বিদেশ সফরে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেছেন ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে কৌশল পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের বিরোধিতা করে আসছে চীন। তারা মনে করছে, এটি চীনের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হতে পারে। উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে মিসাইল পরীক্ষা চালানোর পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ায় গ্রে ঈগল ড্রোন মোতায়েনও শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের একটি সরকারি সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও মিসাইল হুমকি প্রতিহত করার জন্যই কার্ল ভিনশন পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই বলে থাকে কোরিয়া সঙ্কট সমাধানে চীনের ভূমিকা সহযোগিতামূলক নয়। প্রকৃতপক্ষে চীনের মধ্যস্থতার যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। |