শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫ ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে
Published : Thursday, 26 October, 2017 at 6:00 AM, Count : 1333

নিতাই চন্দ্র রায় : দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মত্স্যখাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে মত্স্যখাত তাত্পর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে দেশে মোট মাছের উত্পাদন ছিল ২৭ লাখ টন। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও মত্স্যবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ এবং চাষি ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে চাহিদামাফিক কারিগরি পরিষেবা প্রদানের ফলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে মাছের উত্পাদন হয় ৩৪.১০ লাখ টন এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩৮ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২০-২১ সালের মধ্যে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোতাবেক ৪৫.২০ লাখ টন মাছ উত্পাদন সম্ভব হবে  বলে আশা করেন দেশের মত্স্য  বিশেষজ্ঞগণ।
জাতীয় অর্থনীতিতেও মত্স্য খাতের অবদান  একেবারে কম নয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপিতে  মত্স্য খাতের অবদান ছিল ৩.৬৯% এবং  জাতীয় মোট রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার অবদান ছিল ১.৯২%।দেশে মাছের উত্পাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মত্স্যজীবীদের আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।  নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের ১১ শতাংশের অধিক অর্থাত্ ১ কোটি ৭১ লাখ মানুষ তাদের জীবন-জীবিকার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মত্স্য উপখাতের ওপর নির্ভরশীল। মত্স্য সেক্টরে সংশ্লিষ্ট এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ নারী, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ। এ ছাড়া বিগত ৫ বছরে এ সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অতিরিক্ত বার্ষিক ৬ লক্ষাধিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে মত্স্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোতে নিয়োজিত শ্রমিকের প্রায় ৮০ শতাংশের অধিক নারী। 
সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল  ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ এক সমীক্ষায়থেকে জানা যায়-   বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ মাছ চাষে নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে। তিন দশকে মাছের উত্পাদন ২৫ গুণ বেড়েছে এবং মাছ চাষিরা উত্পাদিত মাছের ৭৫ শতাংশ বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। সমীক্ষায় বলা হয়, বাংলাদেশে প্রধানত নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজনে মাছ চাষের প্রচলিত ধারণা বদলে গেছে।  ভোক্তাদেরও এখন নিজের পুকুর থেকে মাছ খাওয়ার সঙ্গে বাজার থেকেও মাছ কেনার হার অনেক বেড়েছে।  এ প্রসঙ্গে গবেষণা সমন্বয়ক ও সমীক্ষার প্রধান লেখক রিকার্ডো হারনান্ডেজ বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে, উত্পাদনের পাশাপাশি  পল্লী ও শহরের মাছ ব্যবসায়ী, উপকরণ ও মাছের খাদ্য উত্পাদন এবং বিপণনসহ অনেক খাতের বিপুল প্রসার ঘটেছে।’ সমীক্ষায়  উল্লেখ করা হয়, বাড়তি চাহিদা, প্রযুক্তি উন্নয়ন, যোগাযোগ ও অবকাঠামো, লাখ লাখ পুকুর মালিক এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে বাংলাদেশে মাছের উত্পাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এ অগ্রযাত্রায় মাছের রেণু উত্পাদনে বিনিয়োগ, বিদ্যুত্ সরবরাহ ও রাস্তাঘাট নির্মাণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামের  মাছ চাষিরা আগে মূলতঃ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি করতো। কিন্তু এখন তারা তাদের উত্পাদিত মাছের দুই তৃতীয়াংশ ছোট-বড় শহরের আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন। মাছের চাষ বৃদ্ধির ফলে শহর ও গ্রামের গরিব পরিবারগুলোর খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন এসেছে।  চাল ছাড়াও তারা এখন মাছের মাধ্যমে পুষ্টির যোগান বাড়িয়েছেন। জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এর আগে  তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, মাছ উত্পাদনে বাংলাদেশর অবস্থান চতুর্থ। সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে দেশকে মাছ চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বর্তমান ৩৮ লাখ টন থেকে বাড়িয়ে ৪২ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এ দেশে  বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মত্স্য চাষের শুরু থেকেই ময়মনসিংহ অঞ্চল ছিল মত্স্য চাষের জন্য বিখ্যাত। ময়মনসিংহ জেলায় মাছ চাষের সুবিধা হলো- এক. এ জেলার অধিকাংশ জমি নিচু ও মাঝারি নিচু। এসব জমির চারদিকে সামান্য উঁচু আইল তৈরি করে সহজেই মাছ চাষ করা যায়। দুই. মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ কম  এবং শস্য উত্পাদনের চেয়ে মাছের চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার গ্রামের সাহসী যুবকেরা গতানুগতিক ধান চাষের পরিবর্তে মাছ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ে।  তিন. ময়মনসিংহ থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত হওয়ায় মাছ চাষিরা তাদের উত্পাদিত মাছের যৌক্তিক মূল্য পান। চার. এ ছাড়া  এ জেলাতেই বয়েছে  বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়।আধুনিক পদ্ধতিতে মত্স্য চাষ উত্পাদনের প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে যথেষ্ট অবদান। আজ থেকে ৩০ বছর আগে আল ফালাহ নামে একটি মত্স্য খামারের পাঙ্গাস মাছ চাষের সফলতা জেলার মত্স্য চাষিদের দারুনভাবে উদ্বুদ্ধ করে এবং বাণিজ্যিকভিত্তিতে মাছের চাষ জেলার ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা, ভালুকা, গফরগাঁও উপজেলাতে প্রসার লাভ করে। ময়মনসিংহ জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্যে ত্রিশাল উপজেলা মাছ চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। ৩৩৮.৭৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার । বর্তমানে এখানে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি পুকুরে বিভিন্ন  প্রজাতির মাছের বাণিজ্যিক চাষ করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত মাছের প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে-পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, বিগহেড, জাপানি রুই, রুই, কাতলা, মৃগেল থাইসরপুটি, থাইকই, শিং, মাগুড়, গুলশা ও পাবদা ইত্যাদি। ত্রিশাল উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় ৭২ হাজার টন মাছ উত্পাদিত হয়। উপজেলায় মাছের বার্ষিক চাহিদা প্রায় সাড়ে আট হাজার মেট্রিক টন।সে হিসেবে উপজেলায় উদ্বৃত্ত মাছের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৫০০ টন।বর্তমানে ত্রিশাল উপজেলাতে ৪০ টির অধিক বাণিজ্যিক হ্যাচারি রয়েছে।এই সব হেচারিতে রেণু উত্পাদন হয় ৭০ হাজার কেজি। এছাড়া পোনা উত্পাদনের জন্য রয়েছে ১৫০টি বেসরকারি নার্সারি। এসব নার্সারিতে প্রতিবছর প্রায় ১১ কোটি পোনা উত্পন্ন হয়।এই উপজেলায় ২২ হাজার মত্স চাষি এবং প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মত্স্যজীবী রয়েছে। মত্স্যজীবী পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৭০০। এখানে ২০টি মত্স্য খাদ্য কারখানা রয়েছে।
 সম্প্রতি ত্রিশাল চরপাড়ার মাসুদুল করিম পল্টনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি গত ৭-৮ বছর ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের চাষ করছেন। গত বছর ০.৭৫ একর জমির মাছ বিক্রি করে আয় করেন ১৫ লাখ টাকা। উত্পাদন খরচ হয় ১৩ লাখ টাকা। নিট মুনাফা হয় ২ লাখ টাকা। তার এই ০.৭৫ একর জমিতে আমন ও বোরো মৌসুমে বেশি হলে ৭২ মণ ধান হতো। ৭২ মণ ধানে সর্বোচ্চ দাম হতো ৭২ হাজার টাকা।খরচ ৩০ হাজার টাকা বাদ দিলে নিট লাভ হতো মাত্র ৪২ হাজার টাকা। এ কারণে তার মতো ওই পাড়ার নজরুল, সোহাগ, আবুল কালাম, মোবারক হোসেনেরা ধানচাষের পরিবর্তে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।মাছের চাষ করে অনেকে একেবারে শূণ্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। এসব মানুষের মধ্যে ত্রিশাল উজানপাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি এক সময়  খুব গরিব ছিলেন। অন্যের জমি লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে এখন চারতলা পাকা বাড়িসহ ১২ একর জমির মালিক হয়েছেন। প্রতিবছর তিনি  প্রায় ৪ কোটি টাকার মাছ বিক্রি করেন এবং খরচ বাদে প্রায় এক কোটি টাকার নিট মুনাফা করেন।তার দেখাদেখি এলাকার অনেক  বিত্তবান মানুষও মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ত্রিশাল উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ জয়নাল আবেদীনেরও রয়েছে কুনাবাড়ি গ্রামে প্রায় শতাধিক একরের এক মত্স্য খামার।ত্রিশালের প্রাক্তন সাংসদ রেজা আলীর খানীখোলায় রয়েছে প্রায় ২০০ একরের বাণিজ্যিক মত্স্য খামার। এ খামারের উত্পাদিত রেণু ও পোনা উপজেলায় মাছ চাষ সম্প্রসারণে রাখছে বিশেষ অবদান। ত্রিশাল উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেই  কম-বেশি মাছ চাষ হলেও  কোনাবাড়ি, ত্রিশাল উজানপাড়া, চরপাড়া, বৈলর, ধানীখোলা, ছলিমপুর. পাঁচপাড়া, বাগান, রামপুর, কাকচর, ধলা, চিকনা মনোহর, পোড়াবাড়ি, মঠবাড়ী প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপকভাবে মত্স্য চাষ  হচ্ছে এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে তা ছড়িয়ে পড়ছে । অনেকে ৪০থেকে ৫০ একর বিলের জমি ১০ থেকে ১২বছরের জন্য লিজ নিয়ে  বৈজ্ঞানিক  পদ্ধতিতে করছেন মাছের চাষ। তাদের মধ্যে আমীন, মিন্টু ও প্রদীপ মোদকের নাম উল্লেখ করা যায়।এই সব বড় বড় পুকুরের পাড়ে লাগানো হচ্ছে, পেঁপে, আম্রপালি, থাই পেয়ারাসহ নানা রকমের ফলের গাছ। কেউ কেউ পুকুর পাড়ে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ঢেঁড়শ ও ডাটাসহ নানা রকমের শাক-সবজির চাষ করে আড়তি আয়ের পথ খুঁজছেন।
ত্রিশাল উপজেলার হাজার হাজার মানুষ, যারা আগে ছিলেন ক্ষুত্রও প্রান্তিক কৃষক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা অন্যের জমি লিজ নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সংসারের অভাব-অনাটন ঘুচিয়ে উন্নত জীবনযাপনে সক্ষম হয়েছেন। আত্মকর্মসংসথানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে   প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং স্থানীয়ভাবে বহু লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ত্রিশালে মত্স্য চাষের এই সফলতা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে হতে পারে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তি  মত্স্য চাষ ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণের ফলে দেশের মত্স্য উত্পাদন  উত্তোরোত্তর  বৃদ্ধি পাচ্ছে।মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমরা গভীর সমুদ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ কিলো মিটার এলাকার মালিকানা অর্জন করেছি।  বিশাল এই সমুদ্র এলাকার মত্স্য সম্পদের উন্নয়নে সমুদ্র এলাকায় মত্স্য আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, বিভিন্ন প্রজাতির মত্স্য সম্পদের মজুদ নির্নয় ও সর্বোচ্চ সহনশীল আহরণ মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় চার লাখ টন ইলিশ উত্পাদন হচ্ছে। ইলিশ উত্পাদনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাটকা নিধন  বন্ধ ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
কৃষি জমিতে যতেচ্ছ বালাইনাশকের ব্যবহার, প্রাকৃতিক জলাশয়ে শিল্পবর্জ্য ফেলা, জাটকা নিধন এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মত্স্য সম্পদ। এ ছাড়া মত্স্য সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারও নেই। নেই মাছ চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা। এসব সমস্যার সমাধান করে মত্স্য মত্স্য খাতের অভাবনীয় উন্নয়নকে  করতে হবে আরও বেগবান ও টেকসই।

লেখক : কৃষি বিশেষজ্ঞ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com