বৃহস্পতিবার ৮ মে ২০২৫ ২৫ বৈশাখ ১৪৩২
পরিবেশ দূষণ প্রসঙ্গে
Published : Monday, 30 October, 2017 at 6:00 AM, Count : 1295

নিতাই চন্দ্র রায় : মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকর পদার্থ ও তা নির্গমনের ফলে স্বাভাবিক পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাবই পরিবেশ দূষণ। জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ দূষণ। এটা নানা দিক দিয়ে মানবজাতির স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর একটি গভীর ও বিস্তৃত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীতে প্রতি ছয়টি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য দায়ী পরিবেশ দূষণ। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় পরিবেশ দূষণের কারণে।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকগণের সমন্বিত একটি গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত চিকিত্সা সাময়িকী ল্যানসেট এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্বে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ায় যত লোক মারা গেছে তার তিন গুণেরও বেশি লোক মারা গেছে পরিবেশ দূষণের কারণে। পরিবেশ দূষণের জন্য ওই বছর ৯০ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে, যার ৯২ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর বাসিন্দা। প্রতিবেদনে দূষণ বলতে মাটি, পানি, বায়ু ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ দূষণকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীতে পরিবেশে দূষণের কারণে যত লোক মারা গেছে তার অর্ধেক অর্থাত্ ৪৫ লাখ লোক মারা গেছে ভারত ও চীনে। শুধু নিম্ন ও মধ্যমআয়ের দেশই নয়, উন্নত দেশগুলোতেও পরিবেশ দূষণের কারণে দুরারোগ্য ব্যাধি ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে- এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। দূষণের মধ্যে বায়ু দূষণ সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এ কারণে ২০১৫ সালে ৪২ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারান। ১৯৯০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২০ ভাগ বেশি। বায়ু দূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতে। বায়ু দূষণ বলতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস, বাতাসের কণাসহ গৃহস্থালিতে ব্যবহূত পোড়া কাঠ এবং চারকোল থেকে নির্গত দূষণের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবেশ দূষণে ব্রুনাইয়ে সবচেয়ে কম মানুষ মারা যায়। দেশটিতে মোট মৃত্যুর মাত্র ২.৫ শতাংশের কারণ হলো পরিবেশ দূষণ। সুইডেনে এই হার মাত্র ৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে পানি দূষণের কারণে সারা পৃথিবীতে ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই সংখ্যা আরও বেশি, প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ। এসব মানুষ যে পানি পান করেন, তাতে লিটার প্রতি ৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক রয়েছে। পানিতে প্রতি লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে সীসা দূষণের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে পৃথিবীতে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্রে দূষণের কারণে ওই বছর আট লাখ মানুষ মারা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, মাদাগাস্কার ও কেনিয়ার মতো দ্রুত শিল্পায়নের দেশগুলোতে দূষণমাত্রা সবচেয়ে বেশি। তবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিন দিন সোচ্চার হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। চীনে পানি দূষণ রোধ এবং পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
দূষণ এবং এর কারণে সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্বের দরিদ্র আর ক্ষমতাহীন দেশগুলোতে দেখা দেয়। আর এতে আক্রান্ত ভোক্তভোগীরা অধিকাংশই অনিরাপদ এবং এ নিয়ে তাদের মুখ খোলার কোনো উপায় নেই। মৌলিক মানবাধিকার, যেমন বেঁচে থাকার অধিকার, স্বাস্থ্য, সুস্থতা, নিরাপদ কাজসহ শিশুর সুরক্ষার জন্য দূষণ বড় হুমকি। দূষণের কারণে প্রতি বছর বৈশ্বিক সম্পদের ৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ক্ষতি জাতীয় আয়ের ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। আর উচ্চ আয়ের দেশগুলোকে খোয়াতে হচ্ছে জাতীয় আয়ের সাড়ে ৪ শতাংশ। মোট ১৮৮টি দেশের ওপর দীর্ঘ দুই বছর ধরে গবেষণা করে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ল্যানসেট।
পরিবেশ দূষণের কারণে হূদরোগ, স্ট্রোক ও ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। বায়ুদূষণ বিশ্বব্যাপী একটি সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। তবে পশ্চিম ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশের চেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ডিজেলচালিত যানবাহনের ওপর নির্ভরশীলতা এবং বাতাসে বিষাক্ত কণা গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং খেসারত দিতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
বেশি মৃত্যু হওয়া দেশগুলোর তালিকায় ভারতের অবস্থান পঞ্চম, চীনের অবস্থান ষোড়শ। দূষণজনিত কারণে যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তালিকার ৫৫তম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ দূষণজনিত কারণে মারা যায়। আর যুক্তরাজ্যের পেছনে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও ডেনমার্কের মতো বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ।
বাংলাদেশে ঢাকাসহ ৮টি মহানগরের বাতাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন একজন মানুষ দুই থেকে তিন লিটার পর্যন্ত পানি পান করে। কিন্তু ফুসফুসে টেনে নেয় দুই হাজার লিটারের বেশি বাতাস। এ বাতাস যদি দূষিত হয় তবে শ্বাস গ্রহণের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে পড়ে অস্বাস্থ্যকর বস্তু কণা। এ অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নেয়ার সময় ফুসফুসে যা ঢুকে তা দীর্ঘায়ুকে নয়, মৃত্যুকেই শুধু ত্বরান্বিত করে। পরিবেশ অধিদফতরের ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট (কেস) প্রকল্পের আওতায় বাতাসের মান পরীক্ষা করা হচ্ছে প্রতিদিন। এ জন্য ঢাকায় ৪টি, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে একটি করে ১১টি নির্মল বায়ু পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বাতাসকে ভালো, মধ্যম, অস্বাস্থ্যকর, খুব অস্বাস্থ্যকর ও অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর- এই পাঁচটি মানে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় প্রতিদিনই এসব কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, শীতকালে এই ১১টি কেন্দ্রে যে মানের বাতাস পাওয়া যায় এর চেয়ে বোধ হয় খারাপ অবস্থা আর হতে পারে না।
যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে বলছে, বায়ু দূষণের কারণে হওয়া ক্রনিক অবসস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি) বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। আর ২০১২ সালে রোগটির কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে যে পাঁচটি দেশে তার একটি হলো বাংলাদেশ। সিওপিডিতে আক্রান্ত মানুষের খুশখুশে কাশি হয়। এরা অল্প পরিশ্রমেই হাঁপাতে থাকে। জোরে জোরে শ্বাস নেয় এবং রোগী প্রায়ই মনে করে তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। শহর অঞ্চলের রোগটির মূলত কারণ হলো ধুলাবালি ও ধোঁয়া। 
ধুলা-ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহারসহ ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ধূমপান, সড়ক দুর্ঘটনা এবং ডায়াবেটিস- এই তিনটি রোগে প্রতি বছর যত মানুষ মারা যায়, বায়ুদূষণের কারণে মারা যায় তারচেয়ে বেশি মানুষ। বাংলাদেশের কেস প্রকল্পের কর্মকর্তারা বরছেন, ঢাকাসহ ৮টি মহানগরেই নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত বাতাসের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর থাকে। তাই বাতাসের মান বৃদ্ধি ও জনজীবনের ক্ষতির মাত্রা কমাতে হলে- নির্মাণ কাজের সময় চারপাশ ঢেকে রাখা ও পানি ছিটানো, রাস্তা খোঁড়ার সময় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঢেকে রাখা, স্টিল, রিরোলিং মিলস ও সিমেন্ট কারখানাগুলোতে বস্তুকণা নিয়ন্ত্রণমূলক যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও ধুলাবালি কমাতে বাড়ির চারপাশ সবুজায়ন, ইটভাটায় পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার এবং গাড়ি ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বায়ুদূষণ রোধে নির্দিষ্ট আইন ও বিধিমালা রয়েছে। আইনে ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে দূষণকারীর ছয় মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে জনসচেতনতা বাড়ানো ছাড়া শুধু আইন প্রয়োগ করেই বায়ুদূষণ কমানো যাবে না।
শিল্পকারখানার তরল বর্জ্য, গৃহস্থালি ও পয়ঃবর্জ্য সরাসরি নদী-নালা, খালবিল ও সাগরে ফেলার কারণে প্রাকৃতিক জলাশয়ের পানি দূষিত ও পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছ। সেই সঙ্গে দূষিত হচ্ছে মাটি। এছাড়া কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার এবং আর্সেনিকের উপস্থিতি পানি ও মাটি দূষণের অন্যতম কারণ। ভূতাত্ত্বিক গঠনের পাশাপাশি অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়নও ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ভূপৃষ্টের উপরিতলে আর্সেনিক জমাটবদ্ধ হচ্ছে। 
আর্সেনিক এসিড সম্পূর্ণরূপে পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। তাই ভূগর্ভস্থ নলকূপের পানি এখন আর নিরাপদ নয়। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ আর্সেনিক মিশ্রিত পানির নির্মম শিকার। নিরূপায় হয়ে এসব অঞ্চলে মানুষ আর্সেনিক মিশ্রিত পানি পান করে নানারকম রোগব্যাধির শিকার হচ্ছে। আর্সেনিক নামক বিষাক্ত পদার্থ মানবদেহে প্রবেশ করে হাত-পায়ের ত্বকের নানা রোগ সৃষ্টি করে। এছাড়া আর্সেনিক মানুষের যকৃত, ফুসফুস কিডনি, পরিপাকতন্ত্র ও মূত্রথলির ক্ষতিসাধন করে। এমনকি দীর্ঘদিন আর্সেনিক মিশ্রিত পানি পান করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে আর্সেনিক মুক্ত পানি সরবরাহে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে। পানি থেকে আর্সেনিক দূরীকরণের উপকরণ সরকারিভাবে সরবরাহ করতে হবে। আর্সেনিক যুক্ত নলকূপগুলো চিহ্নিত করে ওইসব কূপের পানি পান করা থেকে জনগণকে বিরত রাখার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আর্সেনিক দূষণ এলাকায় সরকারি উদ্যোগে পানি সংগ্রহ ও আর্সেনিকমুক্ত করে তা সর্বসাধারণের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের পরিবর্তে জৈব সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
লেখক: কলাম লেখক



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com