শিরোনাম: |
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের অর্থনীতি সচল: প্রধানমন্ত্রী
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে সরকার প্রস্তুত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
|
![]() প্রধানমন্ত্রী করোনার মধ্যে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, দারিদ্র্য সীমা যেমন আমরা কমিয়ে এনেছি, মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষের জীবন মান যে উন্নত করা যায় সেটাও আমরা প্রমাণ করেছি। সেইসাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনার ব্যবস্থা, সর্বোপরি অর্থনীতির চাকাটা যাতে সব সময় সচল থাকে সে সব দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েই তার সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করছে, বলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে সরকারে আছি বলেই আজকে আমরা দেশের মানুষের উন্নতিটা করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দল আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু করিনি। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখনও কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কেননা, জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন সেখানে দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা, মৌলিক চাহিদাগুলো বাস্তবায়নের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। কাজেই, যখনই সরকারে এসেছি পরিকল্পিত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং যার সুফল এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে। তিনি বলেন, এই তিনটি সেতু মাগুরার মহম্মদপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং যশোরের অভয়নগরবাসীর জন্য মুজিববর্ষের উপহার। তিনি এ সময় করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে জনগণকে পুনরায় সচেতন করে দিয়ে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেছেন সেগুলো হচ্ছে-মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন মধুমতি নদীর উপর এলাংখালী ঘাটে ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার দীর্ঘ শেখ হাসিনা সেতু, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন মুড়াপাড়া ফেরিঘাট রাস্তায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর ১০ হাজার মিটার চেইনেজে ৫৭৬ দশমিক ২১৪ মিটার দীর্ঘ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) সেতু এবং যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের যশোর-খুলনা সড়কের ভাঙ্গাগেট (বাদামতলা) হতে আমতলা জিসি ভায়া মরিচা, নাউলী বাজার সড়কে ভৈরব নদীর উপর ৭০২ দশমিক ৫৫ মিটার দীর্ঘ সেতু। এছাড়া, উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে গণভবনের সঙ্গে সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ ও যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর সংযুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন এবং পাবনা প্রান্ত থেকে স্বাধীনতা চত্বর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী বক্তৃতা করেন। এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রান্তে এবং নারায়ণগঞ্জ প্রান্তে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপকারভোগী জনগণ নিজ নিজ প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত তিনটি সেতু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর এর ওপর দুটি পৃথক ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে সরকার প্রস্তুত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের আরেকটি ধাক্কা আসছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্বিতীয় ধাক্কা সরকারের পক্ষে সামলানো সম্ভব বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচি জাঁকজমকভাবে পালন করতে না পারার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্যাপক আয়োজন ছিল। কিন্তু যেভাবে আমরা করতে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে করতে পারিনি। করোনাভাইরাস নামে এমন একটা ভাইরাস সারাবিশ্বকে অচল করে দিল। শুধু বাংলাদেশ বলে না, সমগ্র বিশ্বের মানুষই কিন্তু এর জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সময় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা প্রদান করার জন্য, দেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী, আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপর আর একটা নতুন ধাক্কা আসছে বিশ্বব্যাপী। আমাদের এখন থেকে সেই প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। কারণ এর ফলে মানুষ যেন আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ প্রথমদিকে আমাদের অতটা অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন অন্তত অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত করা, এই দায়িত্বটা সকলকে পালন করতে হবে এবং আমরা এটা করতে পারবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সরকারপ্রধান বলেন, তাছাড়া যে ভ্যাকসিনটা আবিষ্কার হচ্ছে, সেটা এরইরমধ্যে ক্রয় করার জন্য আমরা আগাম টাকা পয়সা দিয়ে এই জিনিসটা বুকড করে রেখে দিয়েছি। কাজেই সেইদিক দিয়ে দেশবাসীর চিন্তার কিছু নেই। আমরা অন্যান্য সবকিছু বাদ দিয়ে আগে মানুষকে কিভাবে সুরক্ষিত করব, সেগুলো আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি বলে। |