শিরোনাম: |
পূজার কেনাকাটায় জমজমাট শাঁখারী বাজার, ব্যস্ত প্রতিমাশিল্পীরা
|
![]() শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, শাঁখারী বাজারের দোকানে দোকানে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। পূজা উপলক্ষে ঢাকার আশপাশের বিক্রেতারা পূজার বিভিন্ন উপকরণ ও জিনিসপত্র পাইকারি কিনে নিচ্ছেন। এছাড়া হিন্দুধর্মাবলম্বীরা তাদের পরিবারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে কেনাকাটা করছেন। তবে এসময় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদাসীনতা দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। তবে ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়া শুরু হওয়ার পর থেকে বেচাকেনা আরও বাড়বে। মা তারা ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী রাজন সেন বলেন, মহামারির কারণে গত বছর বেচাকেনার খুব খারাপ অবস্থা ছিল। এইবার ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন। মহালয়া শুরুর পর থেকে বেচাকেনা বাড়বে বলে জানান তিনি। শঙ্খ স্মৃতি ভান্ডারের দোকানি বিধান রায় বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রকার শাখা, ঘণ্টা, ঘট, প্রদীপ, আগরদানি, ঠাকুরের মালা, জবের মালা সূলভ মূল্যে বিক্রি করে থাকি। তবে করোনার কারণে মানুষের হাতে টাকাপয়সা কম। তারপরও গতবারের তুলনায় এবার ভালো ক্রেতা পাচ্ছি। শাঁখারী বাজারের বাসিন্দা অঞ্জরি রায় এসেছেন পূজার কেনাকাটা করতে। তিনি জানান, গতবার ভালোভাবে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার আসলাম নিজের এবং বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে। মোটামুটি কম দামেই জিনিসপত্র পেয়েছি। এদিকে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শাঁখারী বাজারের প্রতিমাশিল্পীরা। মাটি দিয়ে সুনিপূণ নৈপূণ্যে দেবীকে সাজাতে প্রতিমাশিল্পীদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। শাঁখারী বাজারের শিমুলিয়া শিল্পালয়ের প্রতিমাশিল্পী পল্টন পাল বলেন, এবারে চারটা অর্ডার পেয়েছি। তাই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। ৯ তারিখের মধ্যে প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রতিমা তৈরির জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন বলেও জানান তিনি। শাঁখারী বাজারের মা শিল্পালয়ের হরিপদ পাল তার এক কারিগর নিয়ে প্রতিমা তৈরি করছিলেন। এসময় তিনি বলেন, দুর্গাপূজা এলেই অর্ডার আসে। অন্যান্য সময় তেমন আসে না। তাই এখন কারিগরের সংকট। আগামী ১১ অক্টোবর দেবী দূর্গাকে বরণ করে নিতে ষষ্ঠী থেকে আরম্ভ করে ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই দুর্গোৎসব। |