শিরোনাম: |
একটানা হাঁচি হলে দ্রুত যা করবেন
|
![]() শারীরিক মিলন শেষে হাঁচি হতে পারে। গবেষকেরা মনে করেন, আমাদের দেহে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র এ ধরনের হাঁচির জন্য দায়ী। হাঁচি কেন হয়? নাকের অভ্যন্তরে অবস্থিত চুল ঝাঁটার মতো কাজ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস গ্রহণ করি তখন নাকের চুলগুলো ধুলিকণা, ফুলের রেণু, ধাতব কণা ইত্যাদি পদার্থকে আটকে দেয় এবং সঙ্গে ধরে রাখে। নাকের চুল পার হয়ে যখন কোনো অস্বস্তিকর ধুলা, ফুলের রেণু, ঝালের গুঁড়া বা অন্য কোনো উপাদান নাকের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আমাদের হাঁচি হয়। ঝাঁঝাঁলো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে। আসলে আমাদের যে কোনো বস্তুই যদি নাকের ভেতরে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি সৃষ্টি করে তবেই আমাদের হাঁচি হয়। অনেকেই আছেন, যাদের একবার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। এমন সময় কী যে করতে হবে, বোঝাও যায় না। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এ হাঁচিও থামাতে পারেন। কীভাবে হাঁচি থামানো যেতে পারে? হাঁচি থামানোর ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগে মধু। প্রচণ্ড হাঁচির মধ্যেও এক চামচ মধু গলায় গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা থেমে যাবে। ইউক্যালিপ্টাস তেলের গন্ধ নাকে গেলে হাঁচি থেমে যেতে পারে। হাঁচি হওয়ার প্রবণতা থাকলে রুমালে দুই থেকে তিন ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস তেল দিয়ে দিন। তা কিছু ক্ষণ নাকের সামনে ধরে রাখুন। হাঁচি থেমে যাবে। একটানা হাঁচি হলে জিভ দিয়ে টাকরায় টোকাও দেওয়া যেতে পারে। মুহূর্তের মধ্যে হাঁচি থেমে যাবে। একটি হাঁচি দেওয়ার সময় ঘণ্টায় প্রায় ১০০ মাইল বেগে নাক দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসে। হাচির এ গতির কারণে নাক দিয়ে বেরিয়ে আসা তরল পদার্থ প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। হাঁচির মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার জীবাণুযুক্ত তরলপদার্থ নাক-মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যদি একজন অসুস্থ মানুষ হাঁচি দেন তবে তার হাঁচির মাধ্যমে নিসৃত তরল কণাগুলো প্রায় ২০ লাখ বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম। মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতার ওপর এ ভাইরাস গুলোর আক্রমণের হার নির্ভর করে। একটি হাঁচি হওয়ার জন্য এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। চিন্তা করা যায়! এক সেকেন্ডে কীভাবে এতো জটিল একটি কাজ সম্পন্ন হয়? |