শিরোনাম: |
বিশ্বকাপে যেভাবে এলো গোল্ডেন বল, বুট ও গ্লাভসের প্রথা
|
![]() বিশ্বকাপে কিভাবে এলো এই গোল্ডেন বুট, বল ও গ্লাভস? পাঠকদের জন্য সেই ইতিহাস তুলে ধরেছে ডেইলি বাংলাদেশ... ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯৩০ সাল থেকে। এরপর থেকে প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই টুর্নামেন্ট। তবে আসরের শুরু থেকে কোনো ব্যক্তিগত পুরস্কারের প্রচলন ছিলো না। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বোধোদয় হয় ১৯৮২ সালে। ৫২ বছর পর এসে ফিফার মনে হলো, আসরের সেরা খেলোয়াড়দেরও পুরস্কৃত করা দরকার। তখন থেকেই ব্যক্তিগত পুরষ্কারের প্রবর্তন শুরু। প্রথমে চালু হয় ‘গোল্ডেন বল’ ও ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কারের রেওয়াজ। এক যুগ তথা ১২ বছর পর এর সঙ্গে যোগ হয় 'গোল্ডেন গ্লাভস'। ফুটবল ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষক ধরা হয় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিখ্যাত গোলকিপার লেভ ইয়াসিনকে। তার সম্মানেই ১৯৯৪ সালে চালু হয় গোল্ডেন গ্লাভস। গোল্ডেন বল প্রতি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরষ্কৃত করা হয় গোল্ডেন বল পুরষ্কারে। ১৯৮২ সালে প্রথমবার গোল্ডেন বল প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ নৈপুণ্য বিবেচনা করা হর। জুরিদের রায়-ই এখানে সর্বোচ্চ হিসেবে বিবেচিত। গোল্ডেন বুট প্রতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই গোল্ডেন বুট পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। গোল্ডেন বলের মতো ১৯৮২ সালেই সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। গোল্ডেন বুটের ক্ষেত্রে একটা নিয়ম হলো, যদি একাধিক সংখ্যক খেলোয়াড় সমান গোল করে, তাহলে অন্যকে গোল করতে সহযোগিতা ও খেলার সংখ্যা বিবেচনায় এনে গোল্ডেন বুট প্রদান করা হয়। গোল্ডেন গ্লাভস প্রতি বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষককে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটি পুরো আসরের গোলকিপারদের পারফরমেন্স বিবেচনা করে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। যদিও চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়ই এই গ্লাভসের বড় দাবিদার। তবে মাঝে মাঝে এই নীতির উল্টোটাও হয়। এক্ষেত্রে ফিফার টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, যদিও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার গোল্ডেন বলের জন্য মনোনীত হন। তবে গোলকিপাররাও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে থাকেন। যেমন ২০০২ সালে জার্মান গোলরক্ষক অলিভার কান গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ডকে পরবর্তীতে ২০১০ সালে গোল্ডেন গ্লাভস নামকরণ করা হলেও লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড হিসেবেই বেশি পরিচিত। |