শিরোনাম: |
বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল, বুট ও গ্লাভস জিতেছেন যারা
|
![]() কাতার বিশ্বকাপের আগের আসরগুলোয় এই পুরস্কার পাওয়া খেলোয়াড়দের দেখে নেয়া যাক.. বিশ্বকাপ ১৯৮২ (স্পেন) ১৯৮২ স্পেন বিশ্বকাপেই শুরু হয় ব্যক্তিগত পুরষ্কারের প্রচলন। সেই আসরে প্রথমবারেই বাজিমাত করেন ইতালির তারকা পাওলো রসি। একই সঙ্গে গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন বুট জয়ের অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ইতালিয় কিংবদন্তি। সেই বিশ্বকাপে ইতালিকে শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেওয়া রসি ছয় গোল করে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জেতেন। বিশ্বকাপ ১৯৮৬ (ইংল্যান্ড) ১৯৮৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারডোনা। সেবার তার অমন জাদুকরী খেলা দেখে ফিফাও আর আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরকার দিতে অন্য কারো কথা ভাবেনি। গোল্ডেন বলটা তাই জিতেছিলেন ফুটবল ঈশ্বরই। তবে সেই আসরে ব্যক্তিগত নৈপূণ্য প্রদর্শনে গোল্ডেন বুট জয় করেন ইংলিশ ফুটবলার গ্যারি লিনেকার। তিনি আসরে ৬ গোল করেছিলেন। উল্লেখ্য, এই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনা তার ‘শতাব্দীর সেরা গোল’ এবং ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত গোল দুইটি উপহার দেন। বিশ্বকাপ ১৯৯০ (ইতালি) ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ শেষে ইতালীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সালভাতর শিলাচির আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭টি। এর মধ্যে ৬টি গোল তিনি বিশ্বকাপেই করেছিলেন। আসরে ছয় গোল করে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট দুইটাই জিতে নেন সালভাতর শিলাচি। বিশ্বকাপ ১৯৯৪ (যুক্তরাষ্ট্র) ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ ইতালির রবার্তো ব্যাজিও ভুলের খেসারত হিসেবে ব্রাজিল জিতে নেয় বিশ্বকাপ। সেই আসরে ছয় গোল করে গোল্ডেন বল জয় করে নেন ব্রাজিলীয় তারকা রোমারিও। তবে বিশ্বকাপ জিতলেও তাদের দলের কেউই গোল্ডেন বুট জিততে পারেনি। রাশিয়ার অলেগ সালেনকো এবং বুলগেরিয়ার হ্রিস্টো স্টোইচকোভ দুই জনই ৬ গোল করে সেবার যৌথভাবে গোল্ডেন বুট জয় করে নেন। আর এই আসরে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক মাইকেল প্রথমবারের মতো গোল্ডেন গ্লাভস তথা তৎকালীন ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড জয় করেন। বিশ্বকাপ ১৯৯৮ (ফ্রান্স) ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করেন ব্রাজিলের তারকা রোনালদো। মাত্র চার গোল করেও তাই গোল্ডেন বল জয় করে নেন তিনি। ফাইনালে ৩-০ গোলে ফ্রান্সের কাছে হেরে যাওয়ার পরেও সেই আসরে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জয় করেন। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার ড্যাভর সুকার ছয় গোল করে জিতে নেন গোল্ডেন বুট। ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন গোলরক্ষক ফ্যাবিয়েন বারথেজ, যা তাকে ইয়াসিন এওয়ার্ড জিততে সাহায্য করে। বিশ্বকাপ ২০০২ (জাপান-কোরিয়া) বিশ্বকাপের এই আসরে ছিল সবচেয়ে বেশি চমক। যেখানে কিনা একজন গোলকিপার আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। অলিভার কান তার অতিমানবীয় পারফরমেন্সের মাধ্যমে ফাইনালের আগ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষণভাগকে দুর্ভেদ্য দেয়াল করে রেখেছিল। সেই আসরেও দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স করে রোনালদো ব্রাজিলকে পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিল। আট গোল করে গোল্ডেন বুট জিতে নেন এই তারকা। আর একই সঙ্গে গোল্ডেন বল ও লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড দুই জয় করে নেয় অলিভার কান। বিশ্বকাপ ২০০৬ (জার্মানি) জার্মানিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে সবচেয়ে ট্রেডমার্ক দৃশ্য মাথা দিয়ে মার্কো মাতোরেজ্জিকে জিদানের ঢু মারা। সেই ঢূ না মারলে আসরের ফলাফলই হয়তো অন্যরকম হতে পারতো। তবে দল না জিতলেও গোল্ডেন বল জিতে নেন জিনেদিন জিদান। অন্যদিকে জার্মান তারকা মিরোস্লাভ ক্লোসা সবথেকে বেশি ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জয় করেন। এছাড়া ইতালির ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন সেই বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন গ্লাভস পান। বিশ্বকাপ ২০১০ (সাউথ আফ্রিকা) বিশ্বকাপের এই আসরে ব্যক্তিগত পুরষ্কারের জন্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। একই সঙ্গে সমান গোল করেন থমাস মুলার, ওইয়েসলি স্নাইডার, ডেভিড ভিয়া ও দিয়েগো ফরলান। এদের মধ্যে বাকি তিনজনকে পেছনে ফেলে গোল্ডেন বল জিতে নেন ফোরলান। দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ইকার ক্যাসিয়াস বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন। এই বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মত গোলকিপারকে পরিবর্তিত নামের লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ডের পরিবর্তে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার দেয়া হয়। বিশ্বকাপ ২০১৪ (ব্রাজিল) এই আসরটা আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেকল মেসির জন্য বেশ দুঃখের। সেই আসরে দল হারলেও গোল্ডেন বল পান মেসি। কলম্বিয়ান তারকা হামেস রদ্রিগেজ পুরো টুর্নামেন্টে বিষ্ময়কর ফুটবল খেলে ৬ গোল করেণ। তাতে গোল্ডেন বুটও যায় তার দখলে। মেসিদের রুখে দিয়ে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। বিশ্বকাপ ২০১৮ (রাশিয়া) এই আসরে দল হারলেও বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়ে ‘গোল্ডেন বল’ পান ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদরিচ। প্রতিটি ম্যাচেই দলের ভরকেন্দ্র ছিলেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়কই। সবথেকে বেশি ছয় গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ পান ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। গোলপোস্টের নিচে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার পান বেলজিয়ামের থিবো কর্তোয়া। |