শিরোনাম: |
বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুসল্লিতে পরিপূর্ণ তুরাগ তীর
|
![]() তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ, শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ইজতেমায় অংশ নিতে গতকাল বুধবার থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। আজ দুপুর না গড়াতেই ভরে যায় ময়দান। এরপরও আসতে থাকেন মুসল্লিরা। সরকারিভাবে আগামীকাল শুক্রবার ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাবলীগ জামাতের হিসেবে দিন ও তারিখ পরিবর্তন হয় প্রতিদিন মাগরিবের পর। সেই হিসেবে আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। পুলিশ ও ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এ বছর প্রথমবারের মতো তিন পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে এ বছরই প্রথম তিন পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আয়োজন করছেন শুরায়ি নেজাম (মাওলানা জুবায়ের) অনুসারীরা। ইজতেমার ময়দানের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। গত দুইদিন ধরে আসতে থাকে মুসল্লিরা। আজ বিকেলের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ইজতেমার ময়দান। ইজতেমা উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসন এবার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সিসি ক্যামেরা, ড্রোন, চেকপোস্টসহ ডিবি পুলিশের টহল বাড়িয়েছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়াও মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকালে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরায়ি নেজাম (মাওলানা জুবায়ের) অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্বেও অংশ নেবে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা। এরপর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, শুরায়ে নেজাম অনুসারীদের আয়োজনে ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, আরবি মাস অনুযায়ী, সুর্যাস্তের পর থেকে দিন শুরু হয়। এজন্য আমরা আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছি। তিনি আরও জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা জুবায়ের। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন জানান, এ বছর বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা বেশি জোরদার করা হয়েছে। ইজতেমায় নিরাপত্তায় ৭ হাজার পুলিশ সদস্য থাকবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তায় কাজ করবে। সিসি ক্যামেরা, মোবাইল কোর্ট, ড্রোন ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। |