শিরোনাম: |
ভর্তি ও চাকরিতে কোটা প্রয়োগের বিষয়টি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত
|
![]() কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। তখন এ নিয়ে উচ্চ আদালত রায় দেন। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটার ভিত্তিতে। এই ৭ শতাংশের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। সম্প্রতি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এই কোটার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মেডিকেলে ভর্তির কোটা নিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা–পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, ভর্তিতে কোটার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো পর্যালোচনা করবে। আর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। |