বর্তমান প্রতিবেদক : বেদনায় আচ্ছন্ন
মন।
শোকে মুহ্যমান
হূদয়।
এমনই এক
বেদনাবিধুর পরিবেশে
জাতির শ্রেষ্ঠ
সন্তান শহীদ
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ
করছে রাজধানী
ঢাকাসহ দেশের
সর্বস্তরের মানুষ। জানাচ্ছে
বিনম্র শ্রদ্ধা
ও ভালোবাসা। ১৯৭১
সালের এই
দিনে হানাদার
পাকিস্তানি ঘাতক
বাহিনী বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল
পরাক্রমের সামনে
পরাজয় নিশ্চিত
জেনে এক
ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে
মেতেছিল।
তারা চেয়েছিল
বাঙালিকে মেধা-মননশূন্য করতে। এ
জন্য তারা
বেছে বেছে
দেশের বিশিষ্ট
শিক্ষাবিদ, চিকিত্সক,
সাহিত্যিক, সাংবাদিক,
দার্শনিক ও
সংস্কৃতি ক্ষেত্রের
অগ্রগণ্য মানুষকে
বাড়ি থেকে
ধরে নিয়ে
গিয়ে নির্মমভাবে
হত্যা করে। পাকিস্তানি
ঘাতকদের এ
বর্বর হত্যাকাণ্ডে
প্রত্যক্ষ সহযোগিতা
করেছিল রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী। এই
নারকীয় হত্যাযজ্ঞ
ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বুদ্ধিজীবীদের
তারা বাড়ি
থেকে তুলে
নিয়ে গিয়েছিল
রাজাকার-আলবদরদের
প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়। বিজয়
অর্জনের পর
রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত
ইটখোলা, মিরপুরসহ
বিভিন্ন বধ্যভূমিতে
একে একে
পাওয়া যায়
হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের
খ্যাতিমান এই
বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত
মৃতদেহ।
হত্যার আগে
পৈশাচিক নির্যাতন
চালানো হয়েছিল
তাদের ওপর। এসব
মৃতদেহ পাওয়ায়
উন্মোচিত হয়
ঘাতকদের বুদ্ধিজীবী
হত্যার নীলনকশা। এ
ঘটনায় বিশ্ববিবেক
স্তম্ভিত হয়ে
পড়ে।
সেই বর্বর
হত্যার দায়ে
বদর বাহিনীর
সর্বোচ্চ নেতার
ফাসি কার্যকরের
পর প্রথম
বুদ্ধিজীবী দিবস
পালন করছে
বাংলাদেশ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী
দিবসে মিরপুরে
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে
গতকাল বুধবার সকালে ফুল
দিয়ে শ্রদ্ধা
জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল
হামিদ, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা,
বিরোধীদলীয় নেতা
রওশন এরশাদ
ও বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়াসহ
বিভিন্ন রাজনৈতিক
দল, সামাজিক
ও সাংস্কৃতিক
সংগঠনসহ দেশের
সর্বস্তরের মানুষ। প্রথমে
রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদ
ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
সকালে মিরপুরে
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে
ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন।
এরপর একে
একে ক্ষমতাসীন
দল আওয়ামী
লীগসহ ১৪
দলীয় জোট,
জাতীয় সংসদের
ডেপুটি স্পিকার,
জাতীয় সংসদের
বিরোধীদলীয় নেতা,
শহীদ পরিবারের
সদস্যরা, যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধারা, ঢাকার
দুই মেয়র,
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী,
ঢাকার বিভাগীয়
কমিশনার এবং
আওয়ামী লীগের
বিভিন্ন সহযোগী
সংগঠন বুদ্ধিজীবী
স্মৃতিসৌধের বেদীতে
ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল পৌনে
৭টায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
মিরপুরের বুদ্ধিজীবী
স্মৃতিসৌধ চত্বরে
পৌঁছালে আওয়ামী
লীগের সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল
কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রী আ
ক ম
মোজাম্মেল হক,
ঢাকার দুই
মেয়র আনিসুল
হক ও
সাঈদ খোকন
এবং তিন
বাহিনীর প্রধানরা
তাকে সেখানে
স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী
এরপর স্মৃতিসৌধে
উপস্থিত শহীদ
বুদ্ধিজীবী পরিবারের
সদস্য, যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধা ও
মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রিসভার
সদস্য, সংসদ
সদস্য, আওয়ামী
লীগের নেতৃবৃন্দের
সঙ্গে কুশল
বিনিময় করেন। সকাল
৭টার কিছুক্ষণ
আগে রাষ্ট্রপতি
শহীদ বুদ্ধিজীবী
স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে
প্রধানমন্ত্রী তাকে
সেখানে স্বাগত
জানান।
এরপর রাষ্ট্রপতি
ও প্রধানমন্ত্রী
স্মৃতিসৌধের বেদীতে
ফুল দিয়ে
শ্রদ্ধা জানান। ফুল
দিয়ে আবদুল