শিরোনাম: |
শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন
রাজনৈতিক দলের মতামত গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
|
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি গঠনের ব্যাপারে বিএনপি যেসব প্রস্তাব পেশ করেছে সেগুলো সহায়ক হবে। তিনি বলেন, আপনাদের মতামত পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। যে কোনো বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় সমাধানের বহুমুখী পথের সন্ধান দেয়। প্রেস সচিব জানান, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ দেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি একটি লিখিত প্রস্তাব আলোচনায় তুলে ধরেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন ও নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে তাদের প্রস্তাবও তিনি তুলে ধরেন। জয়নাল আবেদীন বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রপতির এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করেছে এবং এ ব্যাপারে তাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে জানিয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বঙ্গভবনে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান। পরে দরবার হলে রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিএনপির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ সংলাপে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীন বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। এবার যে ইসি গঠন করা হবে, তাদের অধীনেই হবে ২০১৯ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইসি গঠনে দরকার সব দলের মতৈক্য বলে জানায় বিএনপি। |