শিরোনাম: |
শিমুলকে নিয়ে আবারও বিতর্কে খালেদা
|
জানা গেছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে বঙ্গভবন থেকে প্রবেশের পাস দেয়া হয়েছে। তাই কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিনি। শিমুল বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ায় আবারও বিতর্কে পড়েছেন খালেদা জিয়া। খোদ দলের মধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা। গুরুত্বপূর্ণ এ আলোচনায় তাকে কেন নেয়া হয়েছে, সে হিসাব মেলাতে পাচ্ছেন না দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা। বিএনপির একজন সহ-সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের একাধিক সিনিয়র নেতা থাকা সত্ত্বেও শিমুল বিশ্বাসকে কেন সঙ্গে নিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। একাধিক মামলার আসামি ও দলের সবচেয়ে বির্তকিত শিমুল বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে আবারও বির্তকিত হলেন খালেদা জিয়া। এ জন্য দলকে খেসারত দিতে হচ্ছে। জানি না এর শেষ কোথায়। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েও বৈঠকে অংশ নেয়ার বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। শিমুল বিশ্বাসের নামে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার অজুহাতে তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে বসবাস করে আসছেন। তার কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আজ্ঞাবহ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে ত্যাগী আর পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের থেকে খালেদা জিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে রাখাসহ জিয়া পরিবারের ঘনিষ্টচর হিসেবে বিগত দিনে কর্মরতদেরকেও তিনি কৌশলে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে তার একক আধিপত্য আর তার পছন্দের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন করা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলটির নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, পদ-পদবি নেই। কিন্তু দলের সর্বস্তরে শিমুল বিশ্বাসের প্রভাবে অতিষ্ঠ নেতাকর্মীরা। তার নগ্ন হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা দলের মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা দল-বিমুখ হয়েছেন। দিন দিন নিষ্ক্রিয়দের সংখ্যা রাড়ছে। তিনি বলেন, সব খবর জানেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবুও কেন শিমুল বিশ্বাসকে সঙ্গে রাখেন জানি না। |