শিরোনাম: |
গান গল্প কথায় মুক্তিযুদ্ধ যাদের অবদান
|
আবদুল জব্বার খান: বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং চিত্রনাট্যকার আবদুল জব্বার খান। তার চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং পরিচালিত ‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রটি তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। ১৯৫৬ সালে তার রচিত নাটক ডাকাত (পরবর্তীতে উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত) অবলম্বনে তৈরি করেন মুখ ও মুখোশ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি। মুখ ও মুখোশই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে তৈরি প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রটি তিনি পরিচালনার পাশাপাশি এর মূল চরিত্রেও অভিনয় করেন। এরপর তিনি পরিচালনা করেন জোয়ার এলো (১৯৬২), উর্দূতে নাচ ঘর (১৯৬৩), বনসারি (১৯৬৮), কাচ কাটা হীরা (১৯৭০), খেলারাম (১৯৭৩) প্রভৃতি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল জব্বার খান মুজিবনগর সরকারের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও পরিবেশনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ড, অনুদান কমিটি, সেন্সর বোর্ড, ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ষাট দশকের প্রথম ভাগে গঠিত পাকিস্তান পরিচালক সমিতির অন্যতম সংগঠক ছিলেন। জহির রায়হান : বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হান। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫০ সালে তিনি যুগের আলো পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি খাপছাড়া, যান্ত্রিক, সিনেমাসহ বেশ কিছু পত্রিকাতেও কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে সম্পাদক হিসেবে প্রবাহ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ সূর্যগ্রহণ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্র জগতে তার পদার্পণ ঘটে ১৯৫৭ সালে, জাগো হুয়া সাবেরা সিনেমায় সহকারী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে তিনি রুপালি জগতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কখনো আসেনি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র সঙ্গম নির্মাণ করেন (উর্দু ভাষার সিনেমা) এবং পরের বছর তার প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র বাহানা মুক্তি পায়। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত জীবন থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ অভ্ |