বর্তমান ডেস্ক : গত সপ্তাহে
জব্দ করা
মার্কিন আন্ডারওয়াটার
ড্রোনটি অবশেষে
যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত
দিয়েছে চীন। যেখান
থেকে ড্রোনটি
জব্দ করা
হয়েছিল সেখানেই
তা হস্তান্তর
করা হয়েছে
বলে নিশ্চিত
করেছে মার্কিন
প্রতিরক্ষা দফতর
পেন্টাগন।
গতকাল মঙ্গলবার
চীনের প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ও এক
বিবৃতিতে এ
হস্তান্তর প্রক্রিয়ার
খবরটি নিশ্চিত
করেছে।
উল্লেখ্য, গত
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ
চীন সাগর
থেকে মার্কিন
আন্ডারওয়াটার ড্রোনটি
জব্দ করে
চীন।
চীনা নৌবাহিনী
ফিলিপাইনের সুবিক
উপকূল থেকে
৫০ নটিক্যাল
মেইল দূরে
ড্রোনটি জব্দ
করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের দাবি,
আইনসম্মতভাবে দক্ষিণ
চীন সাগরের
পানিতে সমীক্ষা
চালাচ্ছিল ওই
মার্কিন আন্ডারওয়াটার
ড্রোন।
শুক্রবার মার্কিন
কর্মকর্তারা ড্রোনটি
ফেরত দেওয়ার
জন্য চীনের
কাছে আনুষ্ঠানিক
আবেদন করেন। মার্কিন
কর্মকর্তাদের দাবি,
ড্রোনটি এক
ধরনের ন্যাভাল
গ্লাইডার যা
পানির তাপমাত্রা
ও লবনাক্ততা
পরীক্ষার জন্য
ব্যবহার করা
হচ্ছিল।
শনিবার চীনের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
জানিয়েছে, ‘আন্ডারওয়াটার ড্রোন’
ফেরত দেয়ার
বিষয়ে মার্কিন
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
তাদের আলোচনা
চলছে এবং
তারা তা
ফেরত দেয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে
দেয়া এক
বিবৃতিতে বলা
হয়, ‘চীন যথাযথ প্রক্রিয়ার
মধ্য দিয়ে
মার্কিন কর্তৃপক্ষকে
আন্ডারওয়াটার ড্রোন
ফেরত দেয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন
ও যুক্তরাষ্ট্রের
মধ্যে এ
বিষয়ে নিয়মিত
যোগাযোগ হচ্ছে।’ সোমবার
রাতে এক
বিবৃতিতে পেন্টাগনের
প্রেস সেক্রেটারি
পিটার কুক
বলেন, ‘যেখান থেকে চীনা
নৌবাহিনীর জাহাজ
মার্কিন ড্রোনটি
জব্দ করেছিল
তার কাছাকাছি
এলাকায় ড্রোনটি
হস্তান্তর করেছে। ফিলিপাইনের
কাছে দক্ষিণ
চীন সাগরে
এ হস্তান্তর
প্রক্রিয়া হয়েছে।’ পিটার
কুকের তথ্য
অনুযায়ী, সুবিক
বে’র ৫০ মাইল
উত্তর-পশ্চিমে
আন্তর্জাতিক জলসীমায়
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ
থেকে মার্কিন
যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস
মাস্টিন ড্রোনটি
গ্রহণ করে। কুক
জানান, এ
ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র
তদন্ত অব্যাহত
রাখবে।
গতকাল মঙ্গলবার
এক বিবৃতিতে
চীনও ড্রোন
হস্তান্তরের খবর
নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে
বলা হয়,
‘চীন ও
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে
বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার
পর নির্বিঘ্নে
হস্তান্তর প্রক্রিয়া
সম্পন্ন হয়েছে’। শনিবার
এক টুইট
বার্তায় নবনির্বাচিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প
ড্রোন ইস্যুতে
চীনকে ‘চোর’ আখ্যা
দেন।
তিনি বলেন,
‘চীন আন্তর্জাতিক
জলসীমা থেকে
মার্কিন নৌবাহিনীর
গবেষণা কাজে
চালিত ড্রোন
চুরি করেছে। নজিরবিহীনভাবে
আইনের তোয়াক্কা
না করে
তারা ড্রোনটি
চীনে নিয়ে
গেছে।’
অবশ্য, মার্কিন ড্রোন ফিরিয়ে দিতে সম্মত হলেও দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অংশকে আন্তর্জাতিক জলসীমার অংশ বলে মানতে