শিরোনাম: |
জঙ্গি আস্তানায় অভিযান
আত্মঘাতী নারীসহ নিহত ২: চারজনের আত্মসমর্পণ
|
এদের মধ্যে একজন নারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের অভিনয় করে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এরপরে সে সেখানে মারা যায় এবং আহত আরেকজন শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পারি যে ভেতরে আরও একজন জঙ্গি আছে। তাকে বারবার আত্মসমর্পণের জন্য মাইকিং করা হয়। এর এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে টিয়ারসেল ছুড়ে। এরপর সে ভেতর থেকে গুলি চালায় ও বোমা ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বেশ কিছুক্ষণ তার কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় সে মারা গেছে। এর আগে পুলিশ জানায়, যে বাসাটিতে অভিযান চলে ওই বাসার ভেতরে জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে গ্রেনেড নিয়ে বসে ছিলেন। আর তাকে নিস্তেজ করতে দুপুর ১টার দিকে ওই বাসার ভেতরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে আত্মসমর্পণের কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় শরীরে থাকা বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায় এক নারী। ওই বিস্ফোরণে এক শিশুও আহত হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে ওই নারীর দেহ নিস্তেজ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে। পরে তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাত থেকে দক্ষিণখানের আশকোনার পূর্বপাড়ার ৫০নং বাসাটি ঘিরে রাখে পুলিশ। সকালের দিকে দুই শিশুকে নিয়ে ওই বাসাটি থেকে দুই নারী বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে একজন সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জাহিদের স্ত্রী। অন্যজন পলাতক জঙ্গিনেতা মূসার স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে সোয়াতের কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন, রাজধানীর আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলেসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ অভিযানে চারজন আত্মসমর্পণ করেছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন নারী জঙ্গি সুমনের স্ত্রী। আহত অবস্থায় একটি শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্?সাধীন আছে। ওই বাসার ভেতরে অসংখ্য তাজা গ্রেনেড, বোমা পড়ে আছে। তিনি বলেন, সেখানে অনেক গ্রেনেড পড়ে আছে, বিস্ফোরক পড়ে আছে। তাজা বোমা রয়েছে। আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটগুলো এখন কাজ করছে। পাশাপাশি নিহত দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার |