শিরোনাম: |
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ
|
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কাল ধরে। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। যারা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে এই ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। আবদুল হামিদ বলেন, মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে মহামতি যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যাসঙ্কুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক। আজ শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সব। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এই পুণ্যময় দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে পবিত্র বেথেলহেমে গরিব কাঠমিস্ত্রির গোয়ালঘরে মা মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি। ধর্ম বিশ্বাস বলে ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মেরি গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূত গাব্রিয়েলের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায় যিশু। ধর্মে শিক্ষাভ্রষ্ট তত্কালীন ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত এ শিশুটিই বড় হয়ে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করেন। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিস্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে পোপ এ দিনটিকে স্বীকৃতি দেন। তবে উত্সবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্য যুগে। সে সময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস, মানবজাতিকে সুপথ প্রদর্শন, সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের মতে, তিনি সব কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক অন্যায্যতা, বৈষম্য ও ধর্মীয় পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ধর্মীয় নেতারা তার প্রচার বিরুদ্ধাচারণ করেন। তাতেও |