শিরোনাম: |
বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘেঁষে ধান চাষ
|
![]() বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০১৩ সালে ৩৩ শতক জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৭৫ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকেই ডেপুটেশনের মাধ্যমে দুজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের কোনো খেলার মাঠ নেই। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বোরো আবাদের জন্য একটি ড্রেন এবং সামনে আবাদি জমি থাকায় শিক্ষার্থীদের বন্দি অবস্থায় পাঠ গ্রহণ করতে হয়। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিহাব আল হাসান জানায়, স্কুলের একটি ফুটবল আছে। কিন্তু মাঠ না থাকায় খেলা যায় না। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার জানায়, আগে ওই মাঠেই তারা খেলতে পারত। এখন ফসল চাষ করায় স্কুলে চুপচাপ বসে থাকতে হয়, না হয় বারান্দায় খেলতে হয়। প্রধান শিক্ষক মশিউর আলম বিদ্যালয়ের সামনের জমিতে ধান চাষের সত্যতা স্বীকার করে জানান, খেলার মাঠ না থাকায় পিটি করা যাচ্ছে না। মূলত ভবন ছাড়া বিদ্যালয়টির আর কোনো জায়গা নেই। অপরিকল্পিতভাবে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ধান চাষ না করার জন্য তিনিসহ এলাকাবাসী জমি মালিককে বার বার বলেছেন। কিন্তু সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটা বিদ্যালয়ের নয়। এটা ব্যক্তি মালিকের। জমিটি ক্রয় করাও সম্ভব নয়। বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির অনুদান পেলে হয়ত জমিটি ক্রয় করে শিশুদের খেলার সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন জানান, তিনি গত কয়েক মাস আগে এসেছেন। বিদ্যালয়ের কতটুকু জায়গা আছে তাও তিনি জানেন না। তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন। |