বুধবার ৭ মে ২০২৫ ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
পটুয়াখালীতে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ
Published : Tuesday, 31 January, 2017 at 6:00 AM, Count : 421

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে পটুয়াখালীর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগ কর্তৃক নির্মিত শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই সমস্ত ভবনে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করছে।
অভিযোগ রয়েছে- কাজের মান এতই নিম্নমানের যে নির্মাণের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের দেয়াল ও ছাদের আস্তর খসে পড়ছে। কলাম ফেঁটে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ছাদ ছুঁইয়ে মেঝেতে পানি পড়ে তলিয়ে যায়। ওই সমস্ত বিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে ৫ থেকে ৭ বছর আগে। কিন্তু নির্মাণের ৪ থেকে ৫ বছরের মাথায় জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করায় বহু শিক্ষার্থী নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় না এবং দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও তাদের অভিভাবকরা থাকেন চরম দুশ্চিন্তায়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ৪৮নং নারায়ণ পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দু’বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। বছর যেতে না যেতেই কলাম ও ভিমে বড় বড় ফাঁটল ধরায় দুর্ঘনার ভয়ে শিক্ষার্থীরা ওই ভবনে ক্লাস করতে চায় না। ৯১নং দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মাণের তিন বছরের মাথায় দেয়াল ও ছাদের আস্তর খসে পড়তে শুরু করে। ভিম ও কলাম ফেঁটে রড বেরিয়ে যায়। ওই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি হার কমে গেছে। আবুল হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘খুব দ্রুত বিদ্যালয় ভবন ভেঙে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ভবন নির্মাণ করা জরুরি। অন্যথায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজন জানায়, ‘স্কুল ঘর ভালো না থাকায় অনেকে স্কুলে আসতে চায় না। আমাদের লেখাপড়ার জন্য ভালো একটা স্কুলঘর দরকার। আমরা একটা ভবন চাই।’ ৭২নং নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এতই জরাজীর্ণ যে বর্ষাকালে ওই স্কুলে আদৌ ক্লাস করা যায় না। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। ২৬নং আলকি ডনাভ্যান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১২ সালে নির্মিত হয়। দু’বছর যেতে না যেতেই ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ে অফিস ও শ্রেণিকক্ষ তলিয়ে যায়।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, সিডিউল মোতাবেক কাজ না করায় এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে লবণাক্ততা বেশি থাকায় বিদ্যালয়ের ভবনগুলো দ্রুত জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com