শিরোনাম: |
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
ই-মেইল ফাঁস, হ্যাকিংয়ের অভিযোগ
|
![]() শুক্রবার মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে একটি ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটে ম্যাক্রন শিবিরের ওই ইমেইলগুলো ফাঁস করা হয়। ম্যাক্রনের প্রচারণা শিবির ওই ইমেইল ফাঁসের নিন্দা জানিয়েছে। ম্যাক্রন শিবিরের দাবি, রবিবারের নির্বাচনে ম্যাক্রনকে কোণঠাসা করার জন্যই ইমেইল ফাঁস করা হয়েছে। নয় গিগাবাইটের ওই ফাঁস হওয়া নথিতে কি কি তথ্য রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এতে ইমেইল, আর্থিক ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নির্বাচনি তথ্য রয়েছে বলে ম্যাক্রন শিবির এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে ম্যাক্রন শিবিরের কয়েকজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত ইমেইল একাউন্ট হ্যাক করা হয়। সেখান থেকেই ওই নথি হ্যাকাররা পেয়েছেন। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রচারণার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যম ও প্রার্থীরা আর কোনও বিবৃতি প্রকাশ করতে পারবে না। এ হ্যাকিংয়ের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত আছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেউ এর দায় স্বীকারও করেনি। এর আগে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবিরের হ্যাক করা ইমেইল ফাঁস করেছিল বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো বিকল্প গণমাধ্যম উইকিলিকস। তখন মার্কিন প্রশাসন ও ডেমোক্র্যাট শিবির দাবি করেছিল, এ ইমেইল হ্যাক করার সঙ্গে রুশ হ্যাকাররা জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকেও উঠেছিল আঙ্গুল। তবে রাশিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মাসে সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রো জানায়, রুশ হ্যাকাররা এবার ম্যাক্রন শিবিরের ওপর সাইবার হামলা চালাতে পারে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ সে দাবি অস্বীকার করে। এদিকে, জনমত জরিপে দেখা গেছে, লে পেন থেকে ম্যাক্রনের ২০ শতাংশ সমর্থন বেশি রয়েছে। তবে ফরাসি প্রতিষ্ঠান অডোক্সার এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৬৯ শতাংশ ফরাসি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন না। বৃহস্পতিবার অনলাইনে ৯৯৮ জন মানুষের মধ্যে জরিপটি চালায় অডোক্সা। জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি জনমত জরিপও করে থাকে এই ফরাসি প্রতিষ্ঠানটি। রেডিও ফ্রান্স ইনফোর জন্য তারা ফরাসি নির্বাচন নিয়ে জরিপটি সম্পন্ন করে। এটি প্রকাশ করা হয় শুক্রবার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অডোক্সার আভাস যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে এটি হবে ১৯৬৫ সাল থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটার অনুপস্থিতি। অডোক্সার জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, নির্বাচন থেকে বিরত থাকা ভোটারদের ৬৯ শতাংশ তা করবেন অনিচ্ছা থেকে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিনিধিত্বকারী ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও লে পেনকে প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে তারা ভোটদান থেকেই বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসব ভোটারদের অনেকেই প্রথম দফার নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থীদের ভোট দিয়েছিলেন, যাদের কেউই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করার মতো যথেষ্ট ভোট পাননি। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। এর কারণ হিসেবে তিনি নির্বাচনের আইনের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে এবং তাতে আইন ভঙ্গ হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ম্যাক্রোর শিবিরের পক্ষ থেকে হ্যাকিং ও তথ্য প্রকাশের বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে বৈঠকে বসবে কমিশন। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে এটি উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে ইমেইলগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে। |