শিরোনাম: |
প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
|
![]() সৌদি আরব থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অপর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের যাবেন ট্রাম্প। ইসরাইল থেকে ইউরোপের ইতালি ও বেলজিয়ামে যাবেন। এই সফরে পরপর আরব, ইসরাইল ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। শুক্রবার বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিশেষ বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানে’ চেপে সৌদি আরবের পথে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। কূটনৈতিক অভিজ্ঞতাবিহীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য সফরটিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প তার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রথম বৈদেশিক সফর কোনো বিপর্যয় ছাড়া উতরে যেতে পারলে এটি তার সফলতা বলেই গণ্য হবে। দেশে একগাদা সমস্যার মুখে ট্রাম্প এ সফরে যান। আমেরিকাকে সর্বাগ্রে রাখার বার্তা দিয়ে তিনি মিত্রদের উদ্বেগ দূর করার চেষ্টার সময় একইসঙ্গে তার পায়ে পায়ে বিরাজ করবে ঘরের সব সমস্যাগুলোও। ট্রাম্পের এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ থেকে শুরু করে ফ্লিন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে কোমিকে তার তদন্ত বন্ধ করতে বলার কথা প্রকাশ হয়ে যাওয়া এবং এরপর ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশ তদন্তে সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলারের নিয়োগের মতো নানা ঘটনায় ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর কোনো প্রেসিডেন্টই ট্রাম্পের মতো এত কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে প্রথম বৈদেশিক সফরে যাননি। ফলে তার সফরে এ বিষয়গুলো ছায়া ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প সফরে সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব নিশ্চিত করবে: আরব, ইসলামিক-ইউএস সামিটের খবর সংগ্রহ করতে সারাবিশ্ব থেকে ৫ শতাধিক মিডিয়া কর্মী রিয়াদে ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করছেন। সৌদি সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রী আওয়াদ আল-আওয়াদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, মিডিয়া ও অগ্রসর প্রযুক্তি খাতে তার দেশ ভিশন-২০৩০’এর অংশ হিসেবে ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিদেশ সফরে প্রথম দেশ হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নেয়ার বিষয়টি বিশ্বে তার দেশের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হিসেবে অবস্থানকে নিশ্চিত করেছে। খবর সৌদি গেজেটের। সৌদি সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাদশাহ সালমান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যেকার বৈঠক দুটি দেশের রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর দুটি দেশের মধ্যেকার চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে উভয় দেশের অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। আল-আওয়াদ জানান, অর্ধশতাধিক দেশের নেতারা রিয়াদে এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন এবং সন্ত্রাস মোকাবিলা ও জঙ্গিবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের হাতকে শক্তিশালী করছেন। আশা করি ঐতিহাসিক এ ঘটনা সন্ত্রাস নির্মূলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে যা বিশ্বের মানুষকে প্রভাবিত করবে। |