বৃহস্পতিবার ১ মে ২০২৫ ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
পরিবেশ বিপর্যয়রোধে উন্মুক্ত খেলার মাঠ, জলাশয় ও পার্ক রক্ষায় করণীয়
Published : Monday, 7 August, 2017 at 6:00 AM, Count : 1540

শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের মাধ্যমে একটি জাতি বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করে। আর ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ঈর্ষণীয়। আমাদের খেলোয়াড়রা দেশের জন্য অনেক বড় বড় সম্মান এনে দিচ্ছেন, যা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বলতর হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে আমাদের দেশের অবস্থান অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে নেই বরং অত্যন্ত উঁচু মাত্রায়। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে যাই, যখন দেখি এসব খেলোয়াড়রা যেখান থেকে তৈরী হবে সেসব উত্সস্থলগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সম্ভাবনাময় খেলোয়ার তৈরি করা কঠিন হবে। ঢাকা শহরের খেলার মাঠ বা পরিবেশের যে অভাব রয়েছে এটার মূল কারণ হলো জনসংখ্যা চাপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢাকাবাসীর নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি। এর ফলে ঢাকার মাঠগুলো যথেচ্ছ ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। সরকার ঢাকা শহরের খেলার মাঠ এবং পার্কের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করলেও সেই কমিটি এখন পর্যন্ত কোনো তালিকা প্রস্তুত করেনি। ঢাকা শহরের খেলার মাঠ এবং পার্কের তালিকা প্রস্তুতের বিষয় সরকারের গণপূর্ত-মন্ত্রনালয় অপারগতা প্রকাশ করেছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠগুলোর বর্তমান অবস্থা হলো পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য এবং নির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোর অভাবে ঢাকা শহরের খেলার মাঠ এবং পার্কগুলো সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। খেলার মাঠে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখার আইনগত সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে শিশু কিশোরসহ সকলকেই তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সামাজিক পরিবেশ সমুন্নত রাখতে খেলার মাঠে শুধু খেলাধুলার ব্যবস্থা নিশ্চিত রাখতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয়রোধে খেলার মাঠ ও উম্মুক্ত স্থান দখলমুক্ত ও যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে। খেলার মাঠ এবং প্রাকৃতিক জলাধার ও খেলার মাঠ সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুসারে দেশের সব খাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ৭ এপ্রিল। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল একই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে আবেদন করে এইচআরপিবি। দেশের সব খেলার মাঠ, পার্ক ও খাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনদের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার পরিবেশ পানিসম্পদ ও অর্থসচিব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী সারা দেশের খাল, খেলার মাঠ ও পার্ক রক্ষায় জনস্বার্থে ২০১৩ সালে ০৭ এপ্রিল একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ রির্টের প্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে দেশের খাল, খেলার মাঠ ও পার্ক রক্ষায় পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের আদেশ দেয়া হয়। আদালতের ওই আদেশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সত্যায়িত না হওয়ায় ২০১৪ সালে ২৮ এপ্রিল বিষয়টির উপর প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে আবারও আবেদন করা হয়। ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৭ শত ৬৯ জন মানুষের জন্য একটি পার্ক বা খেলার মাঠ রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া বিদ্যমান অধিকাংশ পার্ক ও মাঠসমূহ ব্যবাহারের উপযোগী না থাকায় মানুষ এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবেশ বিপর্যয়রোধে উন্মুক্ত খেলার মাঠ জলাধার ও পার্ক রক্ষায় সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ঢাকার অপর্যাপ্ত পার্ক ও খেলার মাঠ না থাকার অন্যতম নাগরিক সমস্যা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৬৪টি পার্ক এবং ১৯টি খেলার মাঠ রয়েছে বলা হলেও এটি সঠিক পরিসংখ্যান নয়। নগরীতে কতটি খেলার মাঠ ও পার্ক হয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান দায়িত্বশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই নেই। মাঠ ও পার্কগুলোর মালিকানা ও রক্ষণাবেক্ষণে একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থাকায় সমন্বয়হীনতার জন্য মাঠ ও পার্কগুলো যথাযথ ব্যবহারের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও বিষাক্ত বাতাসের বিপরীতে ঢাকার মাঠ ও পার্কগুলো নগরীর ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। যে শহরে উম্মুক্ত স্থান বেশি সে শহরে মৃত্যু হার কম। পার্কের সবুজ গাছপালা নগরীর বাতাস পরিশুদ্ধ করে ও উত্তপ্ত পরিবেশকে ঠাণ্ডা করে। গাছে গাছে আশ্রয় নিতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পার্কগুলো দখল ও দূষণমুক্ত থাকলে পরিবেশের অনুকূল জীব পাখি ও বিভিন্ন কীট পতঙ্গের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে। রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য।
আজীবন আমরা জলাশয় ভর্তি করে বাড়ি করেছি, গাছের জ্বালানি দিয়ে ইট তৈরি করেছি এবং কলকারখানায় সস্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নয়ন সাধন করেছি ফলে আমাদের সমাজের এসব কর্মকাণ্ড অপরাধ হিসেবে গন্য হয় না। এখন যদি আমরা জানতে পারতাম জলাশয়গুলো ভরাট করার দরুণ কয়েক বছর পর পানির স্তুর নিচে নেমে যাওয়ায় আমাদের টিউবওয়েলে পানি থাকবে না, পুকুরগুলো শুকিয়ে যাবে, গভীর নলকূপগুলো অকেজো হয়ে যাবে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং মাছসহ বিভিন্ন জলজপ্রাণী লুপ্ত হয়ে যাওয়ার দরুণ আমাদের খাবার-দাবারে আমিষের দারুণ ঘাটতি হবে। আমরা যদি জানতাম যে অঞ্চলে ইট ভাটার পরিমান বেশি সে অঞ্চলে কাশ এবং ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ও ক্যানসারের প্রকোপ বেশি। আমরা যদি জানতাম যে কারখানায় ধুলা নির্গত হয়, সে কারাখানার শ্রমিকদের গড় আয়ু অত্যন্ত কম, তাহলে আমরা কি একটু সচেতন হতাম না? পরিবেশের দ্বারা ক্ষতির সবচেয়ে বড় শিকার হয় পরবর্তী প্রজন্ম। আমরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে জলাশয় ভর্তি করে, গাছ পুড়িয়ে ইট বানিয়ে বন উজার করে ধান চাষ বৃদ্ধি করে, নদীর পানি দূষিত করে দেশের পরিবেশ যে অবস্থায় রেখে যাব, পরবর্তী প্রজন্ম এসে তার কুফল সবচেয়ে বেশি ভোগ করবে এবং তারা বলবে আমাদের পিতা-মাতামহরা আমাদের জন্য কতইনা উদাসীন ছিলেন।
১৯৯২ সালে রিওডি জেনেরো শহরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সম্মেলনে সে জন্যই ঘোষিত হয়েছে। যে বর্তমানের সম্পদে ভবিষ্যত্ প্রজন্মের অধিকার আছে এবং সম্পদ ভোগ করার জন্য আমাদের লাগসই উন্নয়ন পদ্ধতি এর অন্য কোনো জুতসই প্রতিশব্দ কি পাওয়া যায় না? (সহায়তা করুন) প্রয়োগ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি না করে কোনো সম্পদ উন্নয়ন ও ভোগ করার পদ্ধতিকেই তারা লাগসই উন্নয়ন বলছেন। জলাশয় ভরাট না করেও সেখানে ঘর-বাড়ি তৈরি করা যায়। কয়লা কাঠ না পুড়িয়েও ইট তৈরি করা যায়। বাংলাদেশেই এ পদ্ধতি চালু আছে। যা গত পরিবেশ সম্মেলনে হয়েছে প্রশংসিত। আর গাছের বিকল্প তো এখন বাংলাদেশের সর্বত্র সহজলভ্য। সুতরাং আমাদের নিজেদের এবং ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কথা ভেবেও আমরা হার্ডকোর পরিবেশবাদী না হয়েও আমাদের ভোগের সময় লাগসই পদ্ধতির বিষয় অর্থাত্ ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কথা যদি মনে রাখি তাহলেই বিশ্ব অনেক নিরাপদ থাকবে। নগরের নামে জলাভূমিরে পরিমাণ কমে গেলে শহরেও বাঁচবে না। সুস্থ থাকবে না নগরবাসী। বিপর্যয় হবে পরিবেশ। টিকে থাকবে না জীববৈচিত্র্য। জলাবদ্ধতা দূষণসহ সব ধরনের দুর্যোগেও নগরজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়তে পারে। তাই নগরজীবনে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, জলাশয় কমে যাওয়ার ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় একটু গরম পড়লেই বেশি তপ্ত মনে হচ্ছে,তিনি তার তত্তাবধানে পরিচালিত এক গবেষনার উদ্বৃতি টেনে বলেন, ১৯৯৫ সালে মতিঝিল ও তেজগাঁও এলাকা তপ্ত এলাকায় পরিণত হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের অন্য যে কোনো স্থানের চেয়ে ঢাকার তাপমাত্রা বেশি হারে বাড়ছে। কারণ এখানে অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে সবুজ ও জলাশয়ের পরিমাণ। শহরের স্থানীয় জলবায়ু পরিস্থিতি ও বিদ্যুতের ব্যবহার শীর্ষক ওই সমীয় বলা হয়েছে অবশ্য রাজধানী এমন গরম হয়ে যাওয়ার পেছনে জলাশয় কমে যাওয়ার পাশা পাশি আরো অনেক কারণ রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে উঁচু ভবন নির্মাণ ও ভবনের মধ্যে উম্মুক্ত স্থান না থাকাও এর জন্য দায়ী।
বিশ্বে বর্তমানে ১ হাজার ২৮০ মিলিয়ন হেক্টর জলাভূমি রয়েছে, যা ব্রাজিলের মোট আয়তনের অর্ধেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ ভাগ। আর বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভূমির ৭০ থেকে ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার অর্থাত্ প্রায় অর্ধেকজুড়েই রয়েছে জলাভূমি। পুরো বাংলাদেশে কোনো জলাভূমি কমে যাচ্ছে তার তেমন কোনো গবেষণা না হলেও বুয়েটের অধ্যাপক ইশরাত ইসলামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে রাজধানীর জলাভূমির পরিমাণ ছিল মোট ভূমির ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৯৯৯ সালে এসে তা ২৫ ও ২০০৫ সালে তা কমে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রাজধানীতে প্রতি বছর ৫০২ হেক্টর করে জলাভূমি কমেছে বলে তার গবেষণায় ওঠে এসছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জলাভুমি কমার পরিমাণ এক হাজার ৯২২ হেক্টর। আর ২০১২ সাল পর্যন্ত জলাভূমির পরিমাণ কমেছে বছরে আড়াই হাজার হেক্টর। এখন জলাভূমির পরিমাণ মোট ভূমির মান ১০ শতাংশ। এ দিকে ঢাকার কৃষি ও জলাভূমির বিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভ্যান্স স্টাডিস বিসিএএস একটি গবেষণায় সর্বশেষ দেয়া তথ্যে ১৬০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজধানীর ভূমির পরিবর্তনগুলো চিহূিত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, আশির দশক পর্যন্ত রাজধানী বিস্তুৃত হচ্ছিল বুড়িগঙ্গার পূর্ব ও উত্তর দিকে। রাজধানীর উত্তরে পশ্চিমাঞ্চলে বাড্ডা, সাঁতারকুল, খিলক্ষেত, রামপুরা, দক্ষিণ ও উত্তর খানের বেশির ভাগ এলাকা এক সময় জলাভূমি ছিল। যার ৯০ শতাংশ বর্তমানে বালু দিয়ে ভরাট করে আবাসিক এলাকায় পরিণত করা হচ্ছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, মানবজাতির সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উদ্ভব হয়েছে প্রাকৃতিক জলাভূমি থেকে। জলাভূমিতে রয়েছে বিশাল প্রাণবৈচিত্র্য জলজ সম্পদ ও পাখিসহ অনেক প্রাণের আবাসন। সব কৃষি শিল্পসহ মানবজাতির বেঁচে থাকার সব প্রক্রিয়ার সহায়ক উপাদানে এই জলাশয়। সারাবিশ্বের অনেক বিলুপ্তমুখী প্রাণী এখানও টিকে রয়েছে বিভিন্ন জলাভূমিতে। জলাভূমি হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র থেকে বৃহদাকার জীব ও তৃণ গুল্মাদির এক অভূত পূর্বসহ অবস্থানস্থল। শহরে জলাশয় খাল ভরাট করে সেখানে নির্মিত হচ্ছে অসংখ্য অট্টালিকা, এইগুলো আজ অবিবেচক মুনাফা ও সম্পদলোভী নির্মাণ ব্যবসায়ীদের হিংস্র ছোবলের শিকার।
ঢাকাসহ নগরীর ভেতর ও বাইরে জলাশয় রক্ষার জন্য প্রণীত ঢাকা বিশদ নগর পরিকল্পনা (ড্যাম) বাস্তবায়ন শুরুর আগেই ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে অবাদে চলছে জলাশয় ভরাট ও বাড়িঘর নির্মাণ। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে বাড়ির পাশে ছোট খাটো ডোবাগুলো আজ নিশ্চিহূ হওয়ার মুখে। অপরিকল্পিত নগরায়ন আর ভূমিখেকো চক্রের গ্রাসে নগরী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জলাভূমি। ফলে একদিকে যেমন দেশের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কমে আসায় অল্প বৃষ্টিতেই নগরীতে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। বিপর্যয় হচ্ছে পরিবেশ।
একটি দেশের প্রকৃতিই তার সবচেয়ে বড় সম্পদ। প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই আমাদের ভাবনাগুলো আধুনিকায়ন করতে হবে। দরকার সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের উদ্যোগ। পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে খেলার মাঠ, জলাশয় ও পার্ক রক্ষা করতে হবে। উম্মুক্ত রাখতে হবে খেলার মাঠ ভরাট বন্ধ করতে হবে জলাশয় ও রক্ষা করতে হবে পার্ক। তাহলেই পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে পরবর্তী প্রজন্ম যেমন রক্ষা পাবে তেমনি বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে একটি সবুজ বাংলাদেশ।
- মো. আলতাফ হোসেন



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com