সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ ৯ আষাঢ় ১৪৩২
জোড়া লাগুক সম্পর্ক
Published : Saturday, 19 August, 2017 at 6:00 AM, Count : 501

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ভালো সম্পর্কও ভেঙে যেতে সময় লাগে না। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির ব্যবহার যেমনি বাড়ছে তেমনি বাড়ছে সম্পর্ক ভাঙ্গা আবার গড়া। ফলে জীবনযাত্রা অনেকটাই জটিল হয়ে উঠেছে। একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস, প্রতারণা কিংবা সত্য-মিথ্যের গ্যারাকলে পড়ে অনেকের জীবনই আজ কলুষিত । কিন্তু এরপরও ভালবাসা এবং বিশ্বাসে ভর করেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তবে এ জন্য চাই সদিচ্ছা। তাহলে কঠিন পরিস্থিতির মুখ থেকেও ফিরিয়ে আনা যায় সম্পর্ককে। কিন্তু এর জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। সেই পন্থা মেনে চললেই বাঁচানো যাবে যে কোনো ভাঙতে বসা সম্পর্ককে। চলুন তাহলে জেনে নেই কী সেই পন্থা-
সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে ‘ব্রেক’ নিন। সম্পর্ককে ‘ব্রেক-আপ’ থেকে বাঁচাতে সবার আগে সোস্যাল মিডিয়া থেকে একটু ব্রেক নিন। দিনের বেশিরভাগ সময় ভার্চুয়াল জগতে থাকতে থাকতে সম্পর্কের গুরুত্ব কমে যায় মানুষের কাছে। তাই সম্পর্কে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে সোস্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
সম্পর্কে স্পর্শ, সান্নিধ্য এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখন কোনো দম্পতি সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যান, তখন তাদের উচিত একে অপরের স্পর্শ এবং সান্নিধ্যকে আরও জোরালভাবে অনুভব করা। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো। আর সেই জন্যই ঘুরতে যাওয়ার মতো ভালো পন্থা দুটি নেই।
সোস্যাল মিডিয়া আর ব্যস্ততার যুগে একে অপরের জন্য সময় বের করা খুবই কঠিন। আর সেই কারণেই দাম্পত্যে জমা হয় দূরত্বের কালো মেঘ। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের জন্য সময় বের করা খুব জরুরি। একে অপরের জন্য ভাবাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সম্পর্ক টেকাতে প্রেমপত্র লেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সময় বের করে একে অপরকে প্রেমপত্র লিখুন। একসঙ্গে কাটানো ভালো মুহূর্তগুলোকে মনে করুন। দেখবেন ভালোবাসা বাড়ছে।
সম্পর্ক বাঁচাতে নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে সচেতন হোন। সম্পর্ককে পরিণতি দিতে নিজেদের প্রতি দায়বদ্ধ হোন। ঠিক কীভাবে চালালে সম্পর্ক সঠিক দিশায় এগোবে তা নিয়ে দুজন আলোচনা করুন। তবেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।
একটি সম্পর্কের ইউএসপি যৌনতা না হলেও, যে কোনো প্রেমঘটিত সম্পর্কে যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সম্পর্কে অশান্তি তৈরি হলে, প্রাথমিকভাবে সেই সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে একে অপরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হোন। একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটান। আদরে আবদারে জটিলতার ক্ষতগুলোকে ভরিয়ে তুলুন।
একসঙ্গে কাজকর্ম করুন। ঘরের যাবতীয় কাজ ভাগ করে নিন। সে রান্না করা হোক বা ঘর সাফাইয়ের কাজ। একসঙ্গে হাত লাগান সব কাজে। দেখবেন দূরত্ব ঘুচে যাবে আসতে আসতে।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী জানেন? একে অপরের সঙ্গে কথা বলা। তাই যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতেই চেষ্টা করুন একে অপরের সঙ্গে কথা বলার। কথা বলার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার। মনে রাখতে হবে, একটি সম্পর্ক গড়া যত না কঠিন,তার চেয়ে অনেক বেশি সহজ একটি সম্পর্ক ভেঙে দেয়া। তাই জীবনের শেষ অবধি চেষ্টা করুন কীভাবে সম্পর্ক অটুট রাখা যায়। তাহলে জীবন হবে আরও সুন্দর এবং সাবলিল। যে জীবনে আপনি নিশ্চিত পাবেন সুখ আর শান্তি। অধিকন্তু পরোকালেও রয়েছে এর জন্য পুরস্কার!
- অনিন্দ্য তাওহীদ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : news.bartoman@gmail.com, bartamandhaka@gmail.com