শিরোনাম: |
রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা খুলনার
৫ রানের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি মিস নাসিরের
|
![]() খুলনার কাছে ইনিংস ও ৪৯ রানে হেরে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে ঢাকা। রংপুরের সঙ্গে প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে ড্র করে টিকে গেছে বরিশাল। শিরোপা জেতা খুলনার পয়েন্ট ২৫। তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা ঢাকার ১০। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের শেষ দিনে খুলনাকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে আরও ১৭৭ রান দরকার ছিল ঢাকার। সেই কাজ করতে পারেনি মোহাম্মদ শরীফের দল। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শনিবার ৪ উইকেট ১৬৯ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ঢাকা গুটিয়ে যায় ২৯৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৭ উইকেট নেয়া অফ স্পিনার মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন ৮৯ রানে। ৩৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা তাইবুর রহমান ফিরেন পঞ্চাশ ছুঁয়ে। পরপর দুই ওভারে তাইবুর ও রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে দেন ম্যাচ সেরা মিরাজ। নাদিফ চৌধুরীর সঙ্গে শরীফের ৫৭ রানের জুটিতে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে ঢাকা। নাদিফকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান রুবেল হোসেন। শরীফকে বিদায় করেন অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। এরপর বেশি দূর এগোয়নি ঢাকার ইনিংস। দেওয়ান সাব্বিরকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট নেন মিরাজ। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তিনিই। ব্যক্তিগত ৩শ’ রান করে রকিবুলের রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারলেন না নাসির হোসেন। মাত্র ৫ রান দূরে থেকে ফিরে গেলেন ২৯৫ রানে। অথচ ব্যক্তিগত ২৭০ রানে রংপুর বিভাগের হয়ে নাসির হোসেন যখন তৃতীয় দিন শেষ করলেন তখন অনেকেই আশা করেছিলেন ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ফতুল্লায় বরিশালে হয়ে সিলেটের বিপক্ষে রকিবুল হাসানের ৩শ’ (৩১৩) রানের সেই ইনিংসটি ছুঁয়ে ফেলবেন। উঠে ?যাবেন নতুন এক উচ্চতায়। কিন্তু পারলেন না। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের এক ঘণ্টা অতিক্রম না হতেই লিখন দে সঞ্জয়ের বল তার অনন্য উচ্চতার পথে বাঁধ সাধলো। ১৭৭তম ওভারে তার চতুর্থ ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ২৯৫ রানে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে নিজের সেরা ইনিংসের সমাপ্তি টানলেন নাসির। তাতে রকিবুল হাসানকে ছুঁতে পারেননি ঠিক। কিন্তু ছাড়িয়ে গেছেন এতদিন তার আগে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২৮২ ও মার্শাল আইয়ুবের ২৮৯ রানকেও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এখন তিনিই। গতকাল শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি মৌসুমের শেষ রাউন্ডের চতুর্থ দিনে খেলতে নেমেছিলেন তৃতীয় দিনের ২৭০ রান নিয়ে। মাত্র ৩০ রান থেকে দূরে ছিলেন। তাই খেলেছেন বেশ সন্তর্পণে। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হলো না এই রংপুর মিডল অর্ডারের। ফিরে গেলেন ২৯৫ রানে। আর এই রান সংগ্রহ করতে নাসির খেলেছেন ৫১০ বল। যেখানে চারের মার ছিল ৩২টি আর ছয়ের মার ৩টি। তার ব্যাটের এই রান বন্যায় ৭ উইকেটে ৬১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে রংপুর। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল বিভাগ। প্রথম ইনিংসে বরিশাল বিভাগের সংগ্রহ ছিল ৩৩৫ রান। যেখানে ৯৯ রানে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ছিলেন দলের স্পিন অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী। |